রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬, ০৯:০২:৩১

ম্যারাডোনার ছোটবেলার স্মৃতিময় বাড়িটি এখন সংগ্রহশালা

ম্যারাডোনার ছোটবেলার স্মৃতিময় বাড়িটি এখন সংগ্রহশালা

স্পোর্টস ডেস্ক: আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে দিয়াগো ম্যারাডোনার ছোটবেলার বাড়িটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করলেন আর্জেন্টিনার জুনিয়র দলের প্রাক্তন ম্যানেজার আলবার্তো পেরেজ। তিনি বাড়িটি কিনে নিয়ে ঠিক আগের মতোই সাজিয়ে তুলেছেন। সাধারণ মানুষ যাতে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের বড় হয়ে ওঠার সময়ের সাক্ষী থাকতে পারেন, সে জন্যই এই সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন পেরেজ। তিনি হৃদয় থেকে এই কাজ করেছেন। এভাবেই ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছেন পেরেজ।

১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার জুনিয়রের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর এই বাড়িতে থাকার সুযোগ পান ম্যারাডোনা। ক্লাব থেকেই তাঁকে বাড়িটি দেয়া হয়েছিল। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এই বাড়িতে ছিলেন ম্যারাডোনা। তাঁর পেশাদার ফুটবলার জীবনের শুরু এই বাড়ি থেকে। ফলে বাড়িটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। সেই কারণেই বাড়িটির মালিকানা পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন পেরেজ। কিন্তু ম্যারাডোনারা চলে যাওয়ার পর যে নারী বাড়িটিতে ছিলেন, তিনি বাড়িটি ছাড়তে চাইছিলেন না। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আট বছর আগে এক লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ম্যারাডোনার ছোটবেলার বাড়িটি কিনে নিতে সক্ষম হন পেরেজ। তারপর থেকেই তিনি ম্যারাডোনাদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেন। সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাড়িটিকে আগের মতোই সাজিয়ে তুলেছেন পেরেজ।

ম্যারাডোনার বড় হয়ে ওঠার দিনগুলির কথা মনে পড়লে এখনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পেরেজ। তিনি অতীতের কথা স্মরণ করে বলেছেন, ‘এই বাড়িতে থাকার সময়টাই দিয়াগোর জীবনের সেরা সময়। আর্জেন্টিনার জুনিয়রে আমরা দিয়াগোকে বড় করে তুলেছি। ও এই ক্লাব এবং প্রতিবেশীদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। দিয়াগোর জন্যই সারা বিশ্ব আমাদের নাম জানে।’

ম্যারাডোনা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ওই বাড়িটির কোন ঘরে কীভাবে থাকতেন, সেটা এখনও মনে রেখেছেন পেরেজ। সেভাবেই তিনি সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন। এখন বাড়িটিতে ঢুকলেই চোখে পড়ে ম্যারাডোনার ছোটবেলার বিভিন্ন ছবি, নথি এবং সরঞ্জাম। আর্জেন্টিনার জুনিয়রের সঙ্গে ম্যারাডোনার প্রথম চুক্তির কপিও আছে এই সংগ্রহশালায়। ফলে আর্জেন্টিনায় আসা ফুটবলপ্রেমীদের অবশ্য গন্তব্য হয়ে গেছে এই সংগ্রহশালা।-এবিপি আনন্দ
৩০ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে