স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়েই কেটেছে ইনজুরিতে। একের পর এক অপরাশেন হয়েছে পায়ে তবুও মাশরাফি যেন এক হার না মানা যোদ্ধা। ইনজুরির সময়ের একটি ঘটনা বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথম যখন আমার পায়ে অপারেশন হয় ২০০৩ এ, আমি আসলে ধকলটা সামলাতে পারিনি। কারণ প্রচন্ড ব্যথা হয়, ফুলে যায়, ডাক্তার সিরিঞ্জ দিয়ে অনেক রক্ত বের করে। তো এইগুলো অনেক পেইনফুল ছিল। তো আমার বাবা যখন যায়, তারপর আমার বাম পায়ের অপারেশন হয়। তারপর ঐ একই রকম সমস্যা হয়, সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করার কারণে রাতে প্রচন্ড ব্যথা হত।’
একদিকে অসহ্য ব্যথা অন্যদিকে বাবার সামনে কেঁদে না ফেলার প্রাণপন চেষ্টা ছিল মাশরাফির, ‘তো তখন তো আমার বয়স ছিল আসলে ২০-২১ বছরের মতো। বাবার সামনে কাঁদতে আমি লজ্জা পাচ্ছি। আমি তাসলে বালিশ টা মুখের উপর রেখে কাঁদতেছি ব্যাথায়, সহ্য করতে না পারে। তখন রাত প্রায় ১২টা-১টা বাজে। তারপরে আমি কাঁদতে কাঁদতে ওভাবেই ঘুমিয়ে গেছি। তারপর একটা সময় রাত ৩টা-৪টা বাজে, তখন উঠে দেখি আমার পা কে ধরে আছে! তো, তাকিয়ে দেখি আমার বাবা পা ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে। তো এটাই ছিল বাবার সাথে আমার দেখা সেরা একটা মুহূর্ত।’
আর মাশরাফির সাথে তার বাবার সবচেয়ে বড় মিলটাও নাকি সেই ইনজুরিতেই! তাইতো মুখে অসহায় হাসি নিয়ে মাশরাফি বলে ওঠেন, ‘সবচেয়ে সেরা মিলটা হচ্ছে, আমার বাবারও হাঁটুর লিগামেন্ট ছেড়া, আমারো লিগামেন্ট ছেঁড়া!’
এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ