শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:০৭:২৭

ভারতের বিরুদ্ধে সব অস্ত্র ব্যবহার করব : মঈন

ভারতের বিরুদ্ধে সব অস্ত্র ব্যবহার করব : মঈন

স্পোর্টস ডেস্ক: তিনিই বুঝেছেন। কারণ তিনি তো ঘরের ছেলে। তার চেয়ে ভালো আর কে–ই বা বুঝবে বাইশ গজের চরিত্র?‌ সে জন্য বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের শেষে রাজকোটে ভারতীয় অলরাউন্ডার স্থানীয় ছেলে রবীন্দ্র জাদেজা হাসতে হাসতে বলেই ফেললেন আসল কথাটি। ‘আরে, টসই আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে। এর পর আর অন্য কিছু হতে পারে না।’

ভারত যে ব্যাকফুটে, তা নিয়ে ভারতীয় শিবিরেও কোনো সন্দেহ নেই। যা বোঝা গেল জাদেজার কথাতেই। ‘টেস্টের তৃতীয় দিন আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সামলাতে পারি, তা হলে ম্যাচে থাকব। নইলে সমস্যা হবে। তৃতীয় দিন আমাদের নিজেদের স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে হবে। অবশ্যই বলের চরিত্র বুঝে। বোর্ডে বিপক্ষ যা রান তুলেছে, আগে সেই রান আমাদের তুলতে হবে। তবে ম্যাচে থাকব আমরা।’

ইংল্যান্ড সেই ৫০০ অতিক্রম করে গেল। আগে থামানো গেল না। অশ্বিন–ম্যাজিক কাজ করল না। জাদেজা সতীর্থের একার ওপর কোনও দায় চাপালেন না। ‘একা অশ্বিনের কথা কেন বলা হবে? আমরা আরো অনেক বোলার ছিলাম। দায় আমাদের সবারই। একা অশ্বিনকে দায়ী করা ঠিক নয়, আমরাই পারিনি।’ এত ক্যাচ পড়ল প্রথম ইনিংসে। কী বলছেন জাদেজা? সহজ–সরলভাবে বলে দিলেন, ‘ক্যাচ পড়লে ব্যাটসম্যানদের শতরান হয়ে যায়, এটা তো জানা কথা। সেটাই হয়েছে। তবে আমার মনে হয়, একেক সময় ম্যাচে এরকম হয়ে থাকে। ক্যাচ পড়ে। আমাদের ত্রুটি শোধরাতে হবে।’

যিনি নিজের হাতের তালুর মতো রাজকোটের বাইশ গজ চেনেন, তিনি কী বলছেন দ্বিতীয় দিনের শেষে পিচ সম্পর্কে? জাদেজার মূল্যায়ন হল, ‘যত সময় গড়াবে পিচ স্লো হবে। পিচে বোলারদের ফুটমার্কে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, সেখানে বল ঘুরবে এটাই স্বাভাবিক।’

ভারতের মাটিতে প্রথম শতরান করা ইংল্যান্ডের মঈন আলিও স্বীকার করে নিলেন দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে বল ঘুরতে শুরু করেছে। ‘বল ঘোরা সবে শুরু হয়েছে। দেখা যাক তৃতীয় দিন বল কতটা ঘোরে। বল পড়ে উঠছে, নামছে। অসমান বাউন্স রয়েছে। আমাদের অনেক অলরাউন্ডার রয়েছে। বোলিংয়ে বৈচিত্র‌্য রয়েছে। আমরা আমাদের সবরকম বৈচিত্র‌্য নিয়েই ঝাঁপাব ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর।’

অশ্বিন সম্পর্কে মঈনের বক্তব্য হলো, ‘অশ্বিনের বল প্রথম দিন একটুও ঘোরেনি। পিচ থেকে কোনো সাহায্য কোনও স্পিনারই পায়নি। তবে অশ্বিন আমাদের বিরুদ্ধে অনেক ওভার বোলিং করায় আমরা ওকে বুঝতে পেরেছি। ওর বিরুদ্ধে কীভাবে আক্রমণ করা যায়, সে সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। যা এই সিরিজে পরবর্তী সময়ে কাজে দেবে। আমরা চুটিয়ে অশ্বিনকে খেলেছি।’

নিজের শতরান প্রসঙ্গে দিনের শেষে মইন বলছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে ভারতে এসে রান পেলে প্রত্যেকেরই ভালো লাগে। আমার সেই একই অনুভূতি। আমার শতরান দলের কাজে লেগেছে, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’ নিজের ব্যাটিং অর্ডার পাঁচ নম্বর প্রসঙ্গে মইনের বক্তব্য, ‘আমাকে দল ওই জায়গাতেই ব্যাট করতে পাঠাতে চায়। আমি দলের নির্দেশ মানছি।’

তৃতীয় দিন কী আশা করে ইংল্যান্ড শিবির? মইন আলি জানিয়েছেন, ‘দেখতে চাই আমাদের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কেমন ব্যাট করে। সেইমতো আমরা আমাদের স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করব।’ দ্বিতীয় দিনের শেষে বোঝাই যাচ্ছে, ইংল্যান্ড শিবির আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ৫৩৭ রানের স্বস্তি রয়েছে যে সঙ্গে।‌
১১ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে