স্পোর্টস ডেস্ক: বছরের হিসেবে নেইমারের সবচেয়ে সফল বছর বলতে হবে ২০১৪ সালকে। বছরের হিসেবে নেইমারের সবচেয়ে সফল বছর বলতে হবে ২০১৪ সালকে।সামনে সর্বকালের সেরা গোলদাতা হওয়ার হাতছানি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে যখন গোল পেলেন নেইমার ডা সিলভা সান্তোস জুনিয়র, ব্রাজিলের জয়টা তখনই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বলতে পারেন ২-০ গোলের লিড আর এমন কি, দ্বিতীয়ার্ধে তো ৩ গোল দিতেই পারত আর্জেন্টিনা, মেসি থাকলে তো যেকোনো কিছুই সম্ভব! কিন্তু পরিসংখ্যান আসলে বলবে, নেইমারের ওই গোলের পরে আর্জেন্টিনার জয়ের সম্ভাবনা ছিলই না!
একটু খোলাসা করা যাক। ২০১০ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে ৭৪ টি ম্যাচে হলুদ জার্সি নীল শর্টস পরে মাঠে নেমেছেন নেইমার। আজ বেলো হরিজন্তেতে ৭৪ তম ম্যাচে এসে গোলের হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন নেইমার। ৭৪ ম্যাচের মধ্যে ৩৫ ম্যাচে গোল পেয়েছেন নেইমার। এই ৩৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১ টিতে হেরেছে ব্রাজিল, ড্র করেছে ২ টি ম্যাচ। বাকি ৩২ টিতেই জয়ী দলের নাম ব্রাজিল!
বছরের হিসেবে নেইমারের সবচেয়ে সফল বছর বলতে হবে ২০১৪ সালকে। ১৪ ম্যাচে ১৫ গোল পেয়েছিলেন নেইমার ওই বছরে। এছাড়া ২০১০ সালে ২ ম্যাচে ১ টি, ২০১১ সালে ১৩ ম্যাচে ৭ টি, ২০১২ সালে ১২ ম্যাচে ৯ টি, ২০১৩ সালে ১৯ ম্যাচে ১০ টি, ২০১৫ সালে ৯ ম্যাচে ৪ টি এবং ২০১৬ সালে ৫ ম্যাচে ৪ গোল করেছেন মেসির এই বার্সা সতীর্থ।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে করা গোলটা দিয়ে গোলের ফিফটি তো পূর্ণ করেছেনই, আরেক ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি জিকোকে পেছনে ফেলে ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় চারে উঠে এসেছেন নেইমার। সামনে আছেন কেবল পেলে, রোনালদো আর রোমারিও। আর মাত্র ২৮ টি গোল হলেই পেলে, রোনালদোদের টপকে তালিকার শীর্ষে উঠে যাবেন নেইমার।
পেলে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল নিয়ে এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিলেন। তবে ২৪ বছর বয়সেই নেইমার যেভাবে গোলের পর গোল করে চলেছেন, তাতে করে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই পেলেকে ছাড়িয়ে এখন তার জন্য স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
একনজরে ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ ১০ গোলদাতা...
১. পেলে: ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ৩৪ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ০৬ গোল
বিশ্বকাপ- ১২ গোল
কোপা আমেরিকা- ০৮ গোল
অন্যান্য টুর্নামেন্ট- ১৭ গোল
২. রোনালদো: ৯৮ ম্যাচে ৬২ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ২১ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ১০ গোল
বিশ্বকাপ- ১৫ গোল
কোপা আমেরিকা- ১০ গোল
কনফেডারেশন্স কাপ- ০৪ গোল
অন্যান্য টুর্নামেন্ট- ০২ গোল
৩. রোমারিও: ৭০ ম্যাচে ৫৫ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ১৭ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ১১ গোল
বিশ্বকাপ- ০৫ গোল
কোপা আমেরিকা- ০৭ গোল
অন্যান্য টুর্নামেন্ট- ১৪ গোল
৪. নেইমার: ৭৪ ম্যাচে ৫০ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ৩৫ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ০৪ গোল
বিশ্বকাপ- ০৪ গোল
কোপা আমেরিকা- ০৩ গোল
কনফেডারেশন্স কাপ- ০৪ গোল
৫. জিকো: ৭১ ম্যাচে ৪৮ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ২৫ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ১১ গোল
বিশ্বকাপ- ০৫ গোল
কোপা আমেরিকা- ০২ গোল
অন্যান্য টুর্নামেন্ট- ০৫ গোল
৬. বেবেতো: ৭৫ ম্যাচে ৩৯ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ১৬ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ০৮ গোল
বিশ্বকাপ- ০৬ গোল
কোপা আমেরিকা- ০৬ গোল
অন্যান্য টুর্নামেন্ট- ০৩ গোল
৭. রিভালদো: ৭৪ ম্যাচে ৩৫ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ১৩ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ০৯ গোল
বিশ্বকাপ- ০৮ গোল
কোপা আমেরিকা- ০৫ গোল
৮. জেয়ারজিনহো: ৮১ ম্যাচে ৩৩ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ১৭ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ০৩ গোল
বিশ্বকাপ- ০৯ গোল
অন্যান্য টুর্নামেন্ট- ০৪ গোল
৯. রোনালদিনহো: ৯৭ ম্যাচে ৩৩ গোল
প্রীতি ম্যাচ- ১৫ গোল
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব- ০৫ গোল
বিশ্বকাপ- ০২ গোল
কনফেডারেশনস কাপ- ০৯ গোল
কোপা আমেরিকা- ০১ গোল
অন্যান্য টুর্নামেন্ট- ০১ গোল
১০. আদেমির: ৩৯ ম্যাচে ৩২ গোল
বিশ্বকাপ- ০৯ গোল
কোপা আমেরিকা- ১২ গোল
কোপা রিও ব্রাঙ্কো- ০৬ গোল
কোপা রোকা- ০৩ গোল
টর্নিও প্যানামেরিসিয়ানো- ০২ গোল-(খেলাধুলা)
১১ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর