স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন তিন টেস্টের সিরিজে সফরকারী ইংল্যান্ডকে ‘ইয়াসির হুমকি’ দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। দলের উঠতি লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ ‘প্রত্যেক দলের জন্যই’ একটা বড় হুমকি উল্লেখ করেন মিসবাহ। তবে প্রতিপক্ষের মানসম্মত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে তার নিজ দলের ব্যাটসম্যানদেরও সেরাটা দিতে হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে সর্বশেষ ২০১২ সালে তিন টেস্টের সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে দুই স্পিনার সাঈদ আজমল এবং আব্দুল রেহমান ৪৩ উইকেট শিকার করে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল। এ দু’জন এবার দলে না থাকলেও শাহ এবং বাঁ-হাতি স্পিনার জুলফিকার বাবর একই ভুমিকা পালন করবে আশা করছে পাকিস্তান।
নিজের শুধরানো এ্যাকশনের পর ফর্মের অভাবে দলে জায়গা না পাওয়া আজমলের অনুপস্থিতিতে শাহ সমান হুমকি হতে পারবে কিনা প্রশ্নের জবাবে মিসবাহ বলেন, ‘যেভাবে সে বোলিং করছে তাতে সকল দলের জন্যই সে একটা হুমকি। অবশ্যই ইংল্যান্ড সেটা জানে এবং সে নিজেও এ ব্যপারে যথেষ্ট সচেতন। তবে এটা কেবলমাত্র তার একার বিষয় নয়, আমাদের সকল বোলারকেই নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকভাবে ভাল রান করতে হবে।’
আজমলের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তান স্পিন আক্রমণের মূল দায়িত্ব পালন করে আসছেন আজমল। শ্রীলংকার মাটিতে পাকিস্তানের শেষ টেস্ট সিরিজ জয়ে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করেছিলেন ২৪ উইকেট শিকারী আজমল। যার ফলে বর্তমানে টেস্ট র্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে উঠে এসেছে পাকিস্তান।
দলের স্পিনারদের প্রশংসা করার পাশাপাশি, ফাস্ট বোলাররাও অবদান রাখবে বলে আশা করছেন ৪১ বছর বয়সী মিসবাহ, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াসির অসাধারণ পারফরমেন্স করে আসছে এবং একইভাবে বাবরও। এটা কেবল মাত্র তাদের বিষয়ই নয়। আশা করছি বিশেষ করে আবুধাবিতে নতুন বলে আমাদের ফাস্ট বোলাররাও তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।’
একই সঙ্গে ইংল্যান্ডের দুই নতুন স্পিনার মঈন আলী এবং আদিল রশিদকেও তার ব্যাটসম্যানদের ভালভাবে সামলাতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মিসবাহ।
গত বছর নিজ মাঠে ভারতের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জয়ী সিরিজে ইংল্যান্ডে হয়ে ১৯ উইকেট শিকার করা আলী সম্পর্কে মিসবাহ বলেন, ‘আলী সত্যিকারার্থেই ভাল বোলিং করছে এবং ভারতের মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তিনি ভাল করেছেন। অর্থাৎ তার বোলিংয়ে ভাল গভীরতা আছে, বোঝা যায়।’
‘আবার এটা কেবলমাত্র দুই স্পিনারের বিষয় নয়, অন্যদেরকেও আমাদের সমীহ করতে হবে। একইভাবে তাদের পেস আক্রমণও আমাদের সামাল দিতে হবে। তাদের দলে মানসম্মত কিছু ফাস্ট বোলার রয়েছে।’
পাকিস্তান দলে থাকা ওয়াহাব রিয়াজ এবং জুনাইদ খানের তুলনায় ইংলিশ দলে থাকা বিশ্বের দুই ও পাঁচ নম্বর বোলার স্ট্রয়ার্ট ব্রড ও জেমস এন্ডারসন অনেক বেশি শক্তিশালী।
পাঁচ বছর পর ফেরা শোয়েব মালিক পাকিস্তান দলকে আরো সমৃদ্ধ করবে এবং বোলিংয়ে ভিন্নতা আনবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মিসবাহ।
মিসবাহ বলেন, ‘তিনি বেশ কিছু দিন যাবত খুবই ভাল খেলছেন এবং চমৎকার ফর্মে আছেন। বোলিংয়ের কারণেই তিনি দলে আছেন এবং যেহেতু ইংল্যান্ড দলে চার-পাঁচজন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান রয়েছেন তাই তিনি খুবই কার্যকর হবেন।’
১০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি