স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট জীবনের মতো প্রশাসক জীবনেও তিনি সামনে তাকানোর তত্ত্বে বিশ্বাসী। মাত্র ২৫ মিনিটের বৃষ্টিতে পণ্ড করে দেওয়া একটা ম্যাচ যেভাবে ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে তাতেও তিনি গা ভাসাচ্ছেন না। বরং আগামী বছর টি–২০ বিশ্বকাপে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে আসন্ন রনজিকে বেছে নিয়েছেন।
সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিজে হাতে বৃহস্পতিবারের ব্যর্থতার ময়নাতদন্তও শুরু করে দিলেন। শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ সৌরভ সিএবি–তে পা রেখেই সটান মাঠে ঢুকে যান। ডেকে নেন ইডেনের মালিদের। মাঠে বসিয়েই শুরু হয় তাদের সঙ্গে আলোচনাপর্ব। জানতে চান, বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কেন পুরো মাঠ ঢাকা দেওয়া হয়নি। জেনে নেন মাঠের নিকাশি ব্যবস্থার খুঁটিনাটিও। এর পর ১৫ তারিখের রনজি ম্যাচ করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেভাবে মাঠ তৈরি করার কথা বলে, চলে আসেন নিজের দপ্তরে।
ইডেনের আউটফিল্ডে বালির মাত্রা বাড়াতে ব্যালেন্স আনার পরামর্শ ৩ বছর আগে দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান কিউরেটর দলজিৎ সিং। এদিন সৌরভের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে কেউ কেউ সে প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। শোনা যাচ্ছে, টি–২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে সেই পথেই হাঁটার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন সংস্থার ভাবি–সভাপতি। দ্রুত কাজ করতে প্রয়োজনে রনজির পরের দুটি ম্যাচ ইডেন থেকে সরিয়ে অন্য মাঠে করার ভাবনার কথাও জানিয়েছেন হাজির কর্তাদের। প্রবীর মুখার্জির ফেলে যাওয়া আসনে এখন অধিকাংশের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে রয়েছেন সাবেক যুগ্মসচিব সুজন মুখার্জি। বর্তমানে যিনি কল্যাণী আকাদেমির দায়িত্বে রয়েছেন।
ওদিকে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কর্তাদের ঝামেলা প্রকাশ্যে চলে এল। গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান দেবব্রত দাস বলেন, ‘অনেকেই ব্যর্থতার জন্য আমাকে দায়ী করছেন। যিনি অভিযোগ করছেন, তাদের কী কোনও দায়িত্ব নেই। মাঠ কেন ঢাকা হচ্ছে না তা নিয়ে সৌরভ যেভাবে তৎপরতা দেখাচ্ছিলেন, তারা কেন দেখাননি।’ যদিও এই ব্যর্থতা বড় করে দেখানোর পক্ষপাতী নন কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে। বলেন, ‘অতীতেও ইডেন অনেক বড় টুর্নামেন্ট সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করেছে। ভবিষ্যতেও করবে।’
১০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি