স্পোর্টস ডেস্ক: নিশ্চিত মেসি ভক্তরা কখনও তাদের তারকাকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চাইতে এগিয়ে রাখতে চাইবেন না। আবার রোনালদো ভক্তরাও কখনবা চাইবে না তাদের তারকা মেসি-নেইমারদের চেয়ে এগিয়ে থাক। বলতে গেলে প্রিয় তারকাকে এগিয়ে রাখার লড়াইয়ে কেউ বিন্দু মাত্রও ছাড় দিতে রাজি নয়।
কিন্তু এক আজব ঘটনা শুনে তাদের ভক্তরা আর্শ্চয হতে পারেন। তা হলো মেসি-রোনালদোর খুবই কাছের বন্ধু। দু’জনকে দেখা গেছে খোশ গল্প করতে করতে ফাঁকা রাস্তা পার হতে। এক জনের ঘাড়ে অন্য জনের হাত। রোনালদোর কথা শুনে মেসি হেসে কুটিকুটি।
সবাই ভাবছেন, এও সম্ভব? বাস্তবে না হলেও ভার্চুয়াল জগতে দেখা মিলেছে দুই শত্রুর ‘বন্ধু’ বনে যাওয়ার অভূতপূর্ব দৃশ্যমালা। ‘ফুটবলে’র তৈরি হাস্যরসাত্মক ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে ইউটিউবে।
সমকালীন ফুটবলের দুই মহারথী একসঙ্গে শপিং মলে যাচ্ছেন। বাড়ির লনে সাইকেল চালাচ্ছেন মেসি, পেছনের ক্যারিয়ারে বসে রোনালদো। ব্যস্ত রাস্তায় দুজনে সেলফি তুলছেন। জিম করছেন একসঙ্গে। বিছানায় বসে খেলছেন ভিডিও গেমস। গেমসে সাফল্য পেয়ে স্বভাবসুলভ উচ্ছ্বাসে মাতছেন রোনালদো। ব্যর্থতায় মেসির নির্লিপ্ত অভিব্যক্তি। তবে সাফল্যে দুই আঙুল আকাশের দিকে তুলে বিখ্যাত সেই উদ্যাপন। অন্যদিকে হতাশায় রোনালদোর চোখে জল!
বারান্দায় উদোম গায়ে রোদে শরীরটা যেন পুড়ে যাচ্ছে সিআর সেভেনের। সানব্লক হাতে বন্ধুর কষ্টে এগিয়ে আসছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক! খুশিতে রোনালদোর ‘থাম্ব-আপ’ আর মুখে ঝিলিক দেওয়া হাসি।
ক্যালকুলেটর নিয়ে বিরাট হিসাব-নিকাশে বসেছেন বার্সা ফরোয়ার্ড। অদূরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে রোনালদো। তাতে লেখা—‘এপ্রিল ১৫, কর দিবস’। সাম্প্রতিক সময়ে মেসির কর ফাঁকি সংক্রান্ত জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে এ দৃশ্যে। জটিলতা সেরে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে পড়েছেন দুজন। রোলার কোস্টারে মেতে উঠছেন বিমল আনন্দে।
শেষ দৃশ্যটা আরও চমৎকার, পেটে খিল লাগিয়ে দেবে আপনাকে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসেছেন রোনালদো। তবে বেমালুম ভুলে বসেছেন টয়লেট পেপার নিতে। বন্ধুর এ বিপদে টয়লেট পেপার হাতে এগিয়ে এসেছেন মেসি। পর্তুগিজ তারকার হাসি দেখে কে! সূত্র : প্রথম আলো
১০ অক্টোবর ২০১৫,এমটি নিউজ২৪/আরিফুর/রাজু