স্পোর্টস ডেস্ক: মশা মারতে কামান দাগা নিশ্চয়ই শুনেছেন। কিন্তু বাঁদর তাড়াতে হনুমান? বাজি রেখে বলা যায় শোনেননি। মুশকিল হল, শুধু শোনা-টোনা নয় কানপুর সেটা হাতেগরম আবার দেখিয়েও দিল। বহু দিন পরপর ম্যাচ হয় সেখানে। প্রশাসনিক ব্যাপার-স্যাপারেও থাকে গাছাড়া মনোভাব। রোববার ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ কানপুরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু কানপুরের পরিবেশ দেখে তা মনে হবার কোন কারণ নেই।
কানপুরে দুই দলের খেলোয়াড়দের অনুশীলনের তেমন কোনো পরিবেশ নেই বলে চলে। ধোনি-ভিলিয়ার্সের সংবাদ সম্মেলনের সময় দেখা গেল, কানপুরের কর্মকর্তারা মোটামুটি হুমড়ি খেয়েই পড়েছেন দুই অধিনায়কের উপর। প্রেস কনফারেন্স রুমটা নামেই, আদতে অস্থায়ী ছাউনি দেয়া একটা কাঠামো। ধোনির নিজের দেশ বলেই হয়তো জানেন, চেনেন। কিন্তু এই পরিবেশ দেখে ভিলিয়ার্স সম্পূর্ণ অবাক।
শনিবার কানপুরের গ্রিন পার্কে দেখা গেল, একসঙ্গে দুটি হনুমানকে নানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শোনা গেল, যে সব জায়গা দিয়ে বাঁদরকুল স্টেডিয়ামে ঢুকে দর্শকদের এটা-ওটা ধরে টান মারে সেসব জায়গা ঘুরিয়ে দেখানো হচ্ছে।
অর্থ্যাৎ কানপুরের গ্রিন পার্কে বাঁদরের উপদ্রব ঠেকাতে এখন সেখানে হনুমান ভাড়া করে আনতে হচ্ছে! কানপুর প্রশাসকরা মনে করছেন, বাঁদরদের বাঁদরামি ঠেকানোর একটাই অস্ত্র, একটাই উপায়। আর তা হচ্ছে, হনুমানের চোখরাঙানি!
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কানপুর স্টেডিয়ামের এক কর্মকর্তা বললেন, 'আরে হনুমান ঘুরছে টের পেলে বাঁদর আর ধারেকাছে ঘেঁষবে না। ওরা ঠিক খবর পেয়ে যাবে যে এখন মাঠে ঢুকলে বিপদ আছে।
কানপুর স্টেডিয়ামের নিকটেই রয়েছে একটি মন্দির। সেখানকারই বাসিন্দা শত শত বাঁদর। তারা ইচ্ছেমত স্টেডিয়ামে ঘোরাফেরা করে। আর এই জন্যেই রোববার ম্যাচের দিন পুরো সময়টাই দুই হনুমানকে রেখে দেয়া হবে গ্রিন পার্কে। আর এই দুই হনুমানের জন্য গুনতে হচ্ছে দশ হাজার রুপি! এখন দেখার বিষয় রোববারের ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে স্টেডিয়ামে এই দুই হনুমান কতটুকু সামাল দিতে পারে বাঁদরকুলকে।-সূত্রঃ আনন্দবাজার
১০ অক্টোবর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস