অগ্নি পান্ডে : কানপুরের গ্রিনপার্কে বাইশ গজের পাশে খানিকটা একইভাবে বোলিং অনুশীলন করতে দেখলাম দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলার মর্নি মর্কেলকে। মালিঙ্গার জুতো রাখার বদলে ফুটবল রেখে অনুশীলন সারলেন মর্নি! কেন? দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির থেকে জানা গেল, বড় বল রাখলে স্পটটা আরও বড় করে দেখা। যার ফলে ইয়র্কারের জায়গা থেকে ডেলিভারি সরে না যায়। ইয়র্কারে মর্নিও নিখুঁত হবার চেষ্টায়। এক একজনের পদ্ধতির রকমভেদ হয়ে থাকতেই পারে।
জীবনের ১০০তম একদিনের আন্তর্জাতিক খেলতে নামার আগে প্রোটিয়া পেস অ্যাটাকের অন্যতম স্তম্ভ মর্নি মর্কেল নিজেকে আরও ভাল করে ঝালিয়ে নিলেন শনি–সকালে। নিজের শততম ম্যাচে যে নিজের জাত চিনিয়ে দিতে হবে। দল তো ডেইল স্টেনের পর তাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। প্রোটিয়াবাহিনীর একদিনের আন্তর্জাতিক নেতা এ বি ডি’ভিলিয়ার্স বলছেন, ‘আমরা মর্নির ওপরে খুব ভরসা করি। কারণ, ভারতীয় পরিবেশের সঙ্গে মর্নি বেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্টেনের পাশাপাশি মর্নির অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আর দেশের হয়ে শততম একদিনের আন্তর্জাতিক খেলতে নামা বিরাট প্রাপ্তিও বটে। মর্নি যোগ্য ব্যক্তি।’
টি–২০ সিরিজে জয়। হেলায় হারানো ভারতকে ভারতের মাটিতে। ভাবা যায়! বুঁদ হয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। একদিনের সিরিজ শুরু হবার প্রাক্কালে দলের নেতা বলছেন, ‘অনেকেই ভাবেনি আমরা এভাবে টি–২০ সিরিজ জিতবো। ভারতের মাটিতে ভারতকে সিরিজে হারিয়ে সবাইকে আমরা চমকে দিয়েছি। ভারতকে যে ভারতের মাটিতে হারানো যায় তা অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না। তবে, আমরা করে দেখিয়েছি।’
জানেন, দেশের মাটিতে ভারতীয় দল কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন। প্রোটিয়া নেতা এ বি ডি’ভিলিয়ার্স বলছেন, ‘একদিনের সিরিজ নতুন সিরিজ। নতুন খেলা। জানি, ভারত এই সিরিজে প্রথম ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে।’ কানপুরের বাইশ গজ দেখে এ বি ডিভিলিয়ার্সের মনে হয়নি যে স্পিন সহায়ক পিচ। তিনি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের পিচ দেখে মনে হয়নি যে স্পিনাররা এখান থেকে খুব বেশি সাহায্য পাবে। তবে এই একদিনের সিরিজ ঘিরে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। আমরা সেইমতো খেলার জন্য তৈরি।’ পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন তারা ‘সিরিয়াস’ ক্রিকেট খেলতে চান।
নিজে টি-২০ সিরিজে পরপর দু’টো ম্যাচে অশ্বিনের বলে আউট হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে চিন্তিত নয় দক্ষিণ আফ্রিকার মেজাজি ব্যাটসম্যান–নেতা ডি’ভিলিয়ার্স। ‘অশ্বিন বড় মাপের বোলার। আমার ব্যাটিংয়ে দু’বারই একটা আলগাভাব ছিল। তবে আমি বল স্পিন করবে ভেবে দু’বারই ভেবেছি। কিন্তু বল স্পিন করেনি। সেজন্য আউট হয়ে গেছি।’ বোঝাই এই দক্ষিণ আফ্রিকা ভাঙবে তবু মচকাবে না।
১১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি