রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:০৮:৫৬

হারের লজ্জা এড়াতেই বাংলাদেশে যায়নি অস্ট্রেলিয়া : ডিন জোন্স

হারের লজ্জা এড়াতেই বাংলাদেশে যায়নি অস্ট্রেলিয়া : ডিন জোন্স

স্পোর্টস ডেস্ক : নিরাপত্তা ইস্যু নয়, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল হারের লজ্জা এড়াতেই বাংলাদেশ সফরে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক খেলোয়াড় ডিন জোন্স। অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক কলামে জোন্স বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ সফরে গেলেই হারের লজ্জা পেতো অস্ট্রেলিয়া। তাই লজ্জা এড়াতেই বাংলাদেশ সফরে যায়নি অসিরা।’

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গত মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু সফর শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে হঠাৎ করেই বাংলাদেশে না আসার ইঙ্গিত দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অজুহাত হিসেবে তারা দাঁড় করায়, ‘নিরাপত্তার অভাব বাংলাদেশে।’
এরপর বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকও করে অস্ট্রেলিয়ার তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

সেই বৈঠকে ঐ প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের নিরাপত্তার চিত্রও তুলে ধরা হয়। এমনকি সফরে আসলে অস্ট্রেলিয়াকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাও দেয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর পরিত্যক্তই করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

তবে অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্বান্তকে মোটেও সমর্থন করলেন না দেশটির সাবেক খেলোয়াড় জোন্স। হারার ভয়েই বাংলাদেশ সফর অস্ট্রেলিয়া স্থগিত করেছে বলে বড়সড় বক্তব্য দিয়ে বসলেন ৫৪ বছর বয়সী জোন্স। তার মতে, ‘নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। আসলে বাংলাদেশে এসে বিব্রত হতে চায়নি অসিরা।

কারণ অনভিজ্ঞ দল নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেললে বিব্রতই হতে হতো তাদের। হারতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর মত সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে। আর রেকর্ড বলছে উপমহাদেশে অস্ট্রেলিয়ার দলের পারফরমেন্স তেমন আহামরি কিছু না। তাই বাংলাদেশ সফরে গেলে হারের লজ্জা পেতে হতো। লজ্জা এড়াতেই সফর স্থগিত করেছে তারা।’

বাংলাদেশ সফরের স্কোয়াডে ছিলেন না ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল জনসন ও জশ হ্যাজেলউড ছাড়াও উপরের সারির অনেক তারকা খেলোয়াড়। এছাড়া এ্যাশেজের পর মাইকেল ক্লার্ক, ব্র্যাড হাডিন, রায়ান হ্যারিস, ক্রিস রজার্স ও শেন ওয়াটসনরা অবসর নেয়ায় বাংলাদেশ সফরের দলটি অনেক বেশি অনভিজ্ঞ হয়ে পড়ে। তারপরও দলে যারা ছিলেন, তাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দ্বিধাবোধ করেননি জোন্স, ‘স্কোয়াডে ওয়ার্নার ছিলেন না। তাই টপ অর্ডার নিয়ে বেকাদায় পড়তে হতো অস্ট্রেলিয়াকে।

এমনতি মিডল-অর্ডারে একমাত্র স্টিভেন স্মিথ ছাড়া আরও কেউ বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য রাখে না। উপমহাদেশে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড আছে শন মার্শের। কিন্তু সে মোটেই ধারাবাহিক নয়। বাংলাদেশের উইকেটে এই দল বড় ধরনের বিপদে পড়তো। শুধুমাত্র ব্যাটিংই নয়, অস্ট্রেলিয়ার দলের বোলিং লাইনআপ নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। মিচেল স্টার্ক পুরোপুরি সুস্থ নন। তার গোঁড়ালিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। উপমহাদেশে স্পিনার নাথান লিও’র বোলিং গড় ৫০-এর কাছাকাছি। অন্যদের বোলিং-ও তেমন পরীক্ষিত নয়। পুরো দলের পারফরমেন্স নিয়েই বিপদে পড়তে হতো অস্ট্রেলিয়াকে।’

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫২ টেস্টে ৩৬৩১ রান ও ১৬৪ ওয়ানডে ম্যাচে ৬০৬৮ রান করেন ডান-হাতি জোন্স। বল হাতে টেস্টে ১ ও ওয়ানডেতে ৩ উইকেট শিকারের রেকর্ডও রয়েছে তার।

১১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে