স্পোর্টস ডেস্ক : তিনি নিজে সরাসরি বলেই দিলেন। তারই উচিত ছিল ম্যাচটা জিতিয়ে ফেরা। সেটা পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক। মহেন্দ্র সিং ধোনি পরিষ্কার বলেই ফেললেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানদের উচিত ছিল ম্যাচটা জেতানো। রোহিত সব কাজ করে দিয়ে গিয়েছিল কিন্তু আমি পারিনি। হ্যাঁ, শেষের দিকে ব্যাট করলে ম্যাচটা জেতানোর দায়িত্ব কাউকে নিতেই হয়। আমার কাজ হল শেষ করা। সেটা পারিনি। আসলে যখন ফিনিশারের ভূমিকা থাকে তখন লোকে মনে রাখে কতগুলো ম্যাচ জেতাতে পারিনি। কতগুলো জিতিয়েছি তা মনে রাখে না। আমাকে দায়িত্ব নিতেই হত।’
ফিরে গেলেন তার জীবনের আরও এমন দুটো ম্যাচের কথায়। ‘একবার ইংল্যান্ডে আর একবার রাজকোটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম। জেতাতে পারিনি, এখানেও সেটাই হল।’
হতাশ ধোনি। মাত্র ৫ রানে ম্যাচ হেরে সাংবাদিক সম্মেলনে বসে তিনি বলছেন, ‘বড় শটের দরকার ছিল। কিন্তু শেষ ওভারে আমাদের শট নির্বাচনে ভুল ছিল। তার মাশুল দিতে হল। আসলে বড় শট নেওয়ার মতো পিচ ছিল না কানপুরে। বল নিচু হচ্ছিল। গতিতে আসছিল না। বড় শট নিতে হলে বোলারদের পেসটা ভাল করে ব্যবহার করতে হয়। কানপুরের পিচে সেটা হয়নি।’ একটা গুণ রয়েছে ভারত–নেতার মধ্যে। ম্যাচ জিতলে তিনি ধরা দেন না প্রচারমাধ্যমের সামনে। কিন্তু হারলে তিনিই সবার আগে চলে আসেন। রবিবার তার অন্যথা হয়নি।
ধোনি বলছেন, ‘শেষ ওভার শুরু হওয়ার সময় নিজেকে বলেছিলাম মারো। সেটা আর হয়ে ওঠেনি।’ তবে কানপুরের ম্যাচ থেকে অনেক শিক্ষাই পাওয়া গেল বলে মনে করছেন ধোনি। তিনি বলছেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের আপার অর্ডার সতি্য ভাল ব্যাট করছে। রোহিতের ফর্মে ফেরা। এগুলো অবশ্যই ইতিবাচক দিক। আর হতাশজনক দিক হল ডেথ ওভাের আমাদের বোলারদের ভাল বল করতে না পারা। কিছুতেই এটা হচ্ছে না। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা রিভার্স সু্যইং করাল। আমরা পারিনি।’ পাশাপাশি ধোনি বলছেন, ভারতীয় ইনিংসে ৩৫–৪০ ওভারে রান কম তোলাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ‘ওই সময়ে আরও রান উঠলে আমরা হয়ত জিতেই যেতাম।’ প্রসঙ্গত তখন ব্যাট করছিলেন রোহিত ও রাহানে।
মাঝপথে মাত্র ৪.৪ ওভার বোলিং করে পেশির টানে উঠে যেতে বাধ্য হওয়া অশ্বিনের না–থাকাটাও একটা ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ধোনির স্বীকারোক্তি: ‘আমার দলের সেরা স্পিনারের হঠাৎ চোট আমার সব পরিকল্পনা গন্ডগোল করে দেয়। অশ্বিন থাকলে ওকে ডেথ ওভারে ব্যবহার করা যেতে পারত।’ সেটা পারেননি ধোনি। উল্টো দিকে হারতে–বসা ম্যাচ শেষ মুহূর্তে জিতে যাওয়ায় বেজায় খুশি দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। অধিনায়ক এ বি ডি’ভিলিয়ার্স হয়েছেন ম্যাচের সেরা। তিনি বলছেন, ‘একটা সময়ে রোহিত ব্যাট করার সময়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি বেরিয়ে যাবে। এমন উত্তেজক ম্যাচ হলে তবেই ক্রিকেটপ্রেমীরা আরও বেশি মাঠমুখো হবে। আশা করি পরের ম্যাচগুলোয় এই ছন্দটা আমরা ধরে রাখতে পারব।’
১২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি