সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৬:২২:১০

শেষ ওভারটা সামলাতে পারলো না ধোনিরা

শেষ ওভারটা সামলাতে পারলো না ধোনিরা

স্পোর্টস ডেস্ক : তীরে এসেও ডুবল ধোনিবাহিনীর নৌকো। শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য মাত্র ৭ রান তুলতে ব্যর্থ হলেন ভারতীয় লোয়ার অর্ডার। চূড়ান্ত ওভারে ১১ রানের আপাতসহজ গণ্ডি পেরোতে পারলেন না ধোনিরা। আর এর সঙ্গে রোহিত শর্মার দেড়শো রানের ইনিংসও ধুয়ে গেল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার পর এ বার ওয়ান ডে সিরিজেও ১-০ স্কোরলাইনে খাতা খুললো দক্ষিণ আফ্রিকা।

রবিবার দ্বৈরথে শেষ ওভারের নাটকীয়তার কাছে পরাজিত হলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। ধোনি বা তার সঙ্গী স্টুয়ার্ট বিনি নন, শেষ হাসিটা হাসলেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাডা। বছর কুড়ির সদ্য তরুণের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াল না ধোনির অভি়জ্ঞতা। মাত্র ছ’টি ওয়ান ডে খেলা রাবাডার কাছে হার মানলেন তিনি। উইকেট খুইয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার পরেই ভারতের জয়ের আশা ছিল। ক্রিজে তখন অলরাউন্ডার বিনি। কিন্তু পরের বলে তাঁকেও ফেরান রাবাডা। আর সেখানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের জয়ের আশা।

টি-টোয়েন্টির পর এ বার কি ওয়ান ডে সিরিজেও পাল্লা ভারি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের? কারণ, ভারতীয় বোলারদের দুরমুশ করে যথারীতি তিনশোর গণ্ডি পেরোলেন প্রোটিয়ারা। সৌজন্যে, সেই এবি ডে’ভিলিয়ার্স। শেষ বলে যিনি ছয় মেরে নিজের ২১তম শতরান পূর্ণ করলেন। কানপুরে ধোনিবাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের গোড়াপত্তনেই নিজের ছাপ রাখলেন এবি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ফাফ ডু প্লেসি।

এ দিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন প্রোটিয়ারা। স্পিন সহায়ক পিচে রবিচন্দ্রনের অশ্বিনের সঙ্গী স্পিনার হিসাবে অমিত মিশ্রকেই বেছে নিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অন্য দিকে, ভুবনেশ্বর কুমার আর উমেশ যাদবের সঙ্গে পেস অ্যাটাক সামলানোর জন্য ছিলেন অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনি। তবে প্রোটিয়াদের প্রথম ধাক্কাটা দিলেন অশ্বিন। নবম ওভারে কুইন্টন ডি কককে তুলে নিয়ে।

অন্য ওপেনার হাশিম আমলাকে সহজেই প্যাভিলিওনে ফেরত পাঠান অমিত মিশ্র। তবে তিন নম্বরে নেমে ফের একটি দামি ইনিংস খেললেন ডু প্লেসি (৭৭ বলে ৬২)। তবে ডু প্লেসির সঙ্গে জুটি বেঁধে  প্রোটিয়া ইনিংস গড়লেন এবি। ভারতীয়দের বোলিং অ্যাটাককে ভোঁতা করে দিয়ে ৭৩ বলে করা তাঁর শতরানে জোরেই কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা বড়সড় রান করতে পারল।

ডু প্লেসি বা এবি ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানেরা কিন্তু সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। যদিও এবির দাপটে শেষ নয় ওভারে প্রোটিয়ারা তুলে নেয় ১০৯ রান। উমেশ যাদব বা অমিত মিশ্র ছাড়া ভারতের অন্য বোলাররা সে ভাবে ম্যাচে ছাপ ফেলতে পারেননি। দু’জনেই এ দিন দু’টি করে উইকেট পেলেন। তবে এ দিন ম্যাচে পেশির চোটের জন্য মাত্র ৪.৪ ওভার বল করতে পারলেন অশ্বিন। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে তাঁর জায়গায় দলে এসেছেন হরভজন সিংহ।

বোলাররা সে রকম ছাপ ফেলতে না পারলেও ওপেন করতে নেমে স্বমহিমায় ছিলেন রোহিত শর্মা। ১৩৩ বলে দেড়শো রানের চোখধাঁধানো ইনিংস খেললেন রোহিত। তার সতীর্থদের মধ্যে একমাত্র অজিঙ্কে রাহানে (৬০ রান) ছাড়া আর কেউই বড় রান পেলেন না। ফলে এ দিনের ক্লোজ অনকাউন্টারের পরেও দলের ছন্নছাড়া ভাবটা কিন্তু থেকেই গেল। হারের থেকে যা আরও বড় চিন্তার কারণ হয়ে রইল ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্কের কাছে।

১২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে