বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৮:৪০:২৯

বিখ্যাত এই বোলাররা কোন ব্যাটসম্যানদের ভয় পেতেন জানেন?

বিখ্যাত এই বোলাররা কোন ব্যাটসম্যানদের ভয় পেতেন জানেন?

স্পোর্টস ডেস্ক: কখনও বিষাক্ত বাউন্সার, তো কখনও ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কার। আবার কখনও বা হদিস না মেলা ভয়ঙ্কর গুগলি। ক্রিকেটকে যতই ব্যাটসম্যানদের খেলা বলা হোক না কেন, একটা বিষয়ে প্রায় সবাই এক মত। ব্যাটসম্যান যতই চার ছক্কার ফুলঝুড়ি ফোটাক, একটি বলই তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরানোর পক্ষে যথেষ্ট। তবে বোলাররা রীতিমতো ভয় পেত, বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ব্যাটসম্যানের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বিশ্বখ্যাত বহু বোলারই নিজের মুখে স্বীকার করেছেন তাঁদের ব্যক্তিগত ‘ত্রাস’ ব্যাটসম্যানের কথা। ওয়াকার ইউনিস থেকে কার্টলে অ্যামব্রোজ, শোয়েব আখতার থেকে ব্রেট লি, শেন ওয়ার্ন থেকে মুরলিধরন— কে নেই সেই তালিকায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তেমনই দশ ভয়ঙ্কর বোলার এবং তাঁদের দুঃস্বপ্নের সেই ব্যাটসম্যানদের।

গ্লেন ম্যাকগ্রা: বিখ্যাত এই অজি পেসার সবচেয়ে বেশি ভয় পেতেন সচিন তেন্ডুলকর এবং ব্রায়ান লারাকে বল করতে। ম্যাকগ্রার নিজের কথায়, “নিজেদের দিনে যে কোনও ব্যাটসম্যানকে বল করাই কষ্টকর। তবে আমি সচিন এবং লারাকে বল করতে বেশ সমস্যায় পড়তাম। কেরিয়ারে ওঁরাই আমাকে সবচেয়ে বেশি বেগ দিয়েছে।”

শেন ওয়ার্ন: সতীর্থের মতো একই সুর শোনা গিয়েছে বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনারের গলায়ও। এক প্রশ্নের উত্তরে ওয়ার্ন বলেছিলেন, “আন্তর্জাতিক স্তরে লারা এবং সচিনই ছিল আমার প্রবলতম প্রতিদ্বন্দ্বী। ওই দু’জনকে বল করতেই সবচেয়ে সমস্যা হত।”

মুথাইয়া মুরলিধরন: শ্রীলঙ্কার সর্বকালের সেরা অফস্পিনারও সমস্যায় পড়তেন লারার বিরুদ্ধেই। তাঁর কথায়, “সব ব্যাটসম্যানকে মাথায় রেখেই বলছি, লারার মতো কাউকে আমি দেখিনি। ওর চোখ ছিল মারাত্মক। যে কোনও বলকেই ও নিজের মতো করে অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারত।”

কোর্টনি ওয়ালশ: হোল্ডিং-মার্শাল পরবর্তী ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণের অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন ওয়ালশ। কেরিয়ারের প্রবলতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমি মিয়াঁদাদকে বল করতে একটু ভয়ই পেতাম। ও কখনও উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকত না। যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও শট খেলতে পারত। ওর দুর্বলতা বুঝতে পারতাম না।”

কার্টলে অ্যামব্রোজ: তাঁকেই মোটামুটি ভাবে ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণের স্বর্ণযুগের শেষ সৈনিক বলা যায়। এ হেন অ্যামব্রোজ এক বার বলেছিলেন, “সচিনের মতো ব্যাটসম্যান আমি দেখিনি। আমার কেরিয়ারের কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী সচিনই।”

ওয়াকার ইউনিস: পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেসারও নাম করেছেন ব্রায়ান চার্লস লারারই। তাঁর মতে, “লারাকেই বল করা সবচেয়ে কষ্টকর ছিল। ওই আমার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সফল ভাবে রান করত।”

ব্রেট লি: অজি পেসার খোলাখুলিই বলেছেন যে, সচিনকে বল করাটাই ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। তাঁর কথায়, “লারা এবং সচিন দু’জনকে বল করাটাই ছিল সমস্যার। কিন্তু আমি সচিনকে খানিকটা এগিয়েই রাখব। যে বলই করতাম, সচিন সেটাকেই বাউন্ডারিতে পাঠানোর ক্ষমতা রাখত। ওকে আউট করতে প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হত।”

শোয়েব আখতার: রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রসও যে কাউকে ভয় পেতে পারে, তা খোদ শোয়েব না বললে জানাই যেত না। শোয়েবের মতে, “আমার সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন ছিল ও। ব্যাট হাতে নামলেই আমি বুঝে যেতাম, আরও দু’টো সেশন ফিল্ডিং করতে হবেই। ওর মতো ব্যাসম্যান আমি দেখিনি।” ব্যাটসম্যানের নাম? রাহুল শরদ দ্রাবিড়।

জেসন জিলেসপি: স্টিভ ওয়ের বিশ্বজয়ী বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন এই ডানহাতি পেসার। তিনি বেছে নিয়েছেন ব্রায়ান লারাকে। তাঁর মতে, “একটাই কারণে আমি লারাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখব, সেটা হল ওর ভাল বলকেও মারার ক্ষমতা। যে কোনও বলেই ও বাউন্ডারি মারার ক্ষমতা রাখত।”

মিচেল জনসন: আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলার আবার ভয় পান এবি ডেভিলিয়ার্সকে। জনসনের মতে, “নিঃসন্দেহে আমাদের যুগের সেরা ব্যাটসম্যান এবি। ওকে বল করাটা ছিল খুব কঠিন। সব ধরনের শট খেলতে পারত এবি।’’-আনন্দবাজার
১৫ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে