অগ্নি পান্ডে: সাম্প্রতিককালে তাকে দেখা যায়নি কখনও এভাবে। কীভাবে? নেটে প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাট করলেন ভারতীয় অধিনায়ক। যা দেখা যায় না সচরাচর। মহেন্দ্র সিং ধোনি নেটে এক ঘণ্টা ব্যাটিং করছেন, এ যে বিরল দৃশ্য! মঙ্গলবার সকালে সেই দৃশ্যের সাক্ষী রইল ইন্দোর। ।
ধোনি ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে চারটি নেটে এক ঘণ্টা ব্যাট করলেন। কানপুরে দেখেছি ব্যাটিং স্টান্স বদলেছেন। ইন্দোরে দেখলাম ব্যাট করার সময় খানিকটা অফ স্টাম্পের দিকে সাফল করে যাচ্ছেন। তারপর সেখান থেকে অন সাইডে শট নিচ্ছেন। অন সাইডে নিজেকে আরও শক্তিশালী করে নেওয়ার চেষ্টায় নিবিড় অনুশীলনে মগ্ন ধোনি। দেখা গেল আপার কাটে মন দিতে। বড় বড় শট নিলেন মাহি। সাধারণত যা দেখা যায় না সেটাই দেখলাম। তিনি থ্রো–ডাউন স্পেশালিস্ট রাঘবেন্দ্রর কাছে শর্ট বলে প্র্যাকটিস করলেন অনেকক্ষণ।
ডেল স্টেন, মরনি মর্কেলদের শর্ট বল খেলতে হবে। তিনি জানেন, তার ওপরে প্রত্যাশা বিশাল। কানপুর–কাণ্ডের পর তিনি জানেন তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেটমহলে। ফিনিশার ধোনি হয়ত শেষ হয়ে গেছেন। সেজন্য বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া। থ্রো–ডাউনের সময় একবার ধোনির হাতেও বল লাগল। দৌড়ে গেলেন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার। ছুটে এলেন দলের ফিজিও প্যাট্রিক। ধোনির কোনও হেলদোল নেই। না, বরফ পর্যন্ত লাগালেন না। তিনি আবার নেটে রুদ্রমূর্তি ধরলেন। ধোনি এমনই।
তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি ইন্দোর থেকেই চাকাটা ঘোরাতে চান। তার ঘাড়ে যার নিঃশ্বাস পড়ছে তিনিও কিন্তু রানের মধ্যে নেই। কানপুর থেকে তার ব্যাটিংয়ের জায়গাটা সরে গেছে। তিন থেকে চারে। বিরাট কোহলিও চাপে। তবে দেখে বোঝার উপায় নেই। কানপুরে জঘন্য আউট হয়েছেন। সেই বিশ্বকাপের পর থেকে একদিনের আন্তর্জাতিকে তার ব্যাট কিন্তু বড় রানের মুখ দেখেনি। এমনকী ৫০–ও নয়। তিনি অবশ্য মিনিট পনেরোর বেশি ব্যাট করেননি। তবে তার নেতা কিন্তু খাটছেন। কারণ, নেতা জানেন হারের যাবতীয় দায়িত্ব যে বরাবর তার ওপরেই পড়ে। আর আজ হারলে! তাইতো রীতিমত অগ্নিপরিক্ষার মুখোমুখি ধোনি!
১৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি