সুনীল গাভাস্কার: ফের আরেকটা উত্তেজক ম্যাচ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দেখিয়ে দিল, ভারতীয়দের থেকে ওরা মানসিকভাবে কতটা এগিেয়। প্রথম টি-২০ ম্যাচেও আমরা দেখেছিলাম, কীভাবে রোহিত সেঞ্চুরি করা সত্ত্বেও কঠিন লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে প্রোটিয়ারা জিতেছিল। কানপুরের গ্রিন পার্কের সবুজ গালিচাতেও ফের একবার সেই একই জিনিস দেখা গেল। মহেন্দ্র সিং ধোনি নয়, বরং দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা দেখিয়ে দিল, নিশ্চিত হারা ম্যাচও কীভাবে জিতিয়ে দেওয়া যায়।
স্বাভাবিকভাবেই একপক্ষ অধিনায়ক ধোনির সমালোচনা করতে শুরু করেছে। কিন্তু তারা ভেবে দেখছে না, ধোনির পাশাপাশি শেখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি বা সুরেশ রায়নাও ব্যর্থ, যাদের কাছে রানের আশা করা হয়েছিল। কোহলি এখন ভারতবাসীর চোখে তারকা। তাই ওর সম্পর্কে সমালোচনা বিশেষ শোনা যাচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু একজনকে দোষী সাব্যস্ত করা ভারতবাসীর স্বভাব, তাই ধোনিই সবথেকে ভাল লক্ষ্য।
ভারতীয় বোলারদের জঘন্য বোলিং নিয়েও কেউ একটা শব্দও উচ্চারণ করছে না, যারা শেষ ১০ ওভারে প্রায় ১০০ রান হজম করেছে। গত দুই মরশুম ধরেই শেষ ওভারে মার খাবার এই প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। যেটা কিছুতেই ঠিক করা যাচ্ছে না। বোলারদের মধ্যে সুরেশ রায়নার কথা বলব। ও কিন্তু স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করে যায় এবং বেশি বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করে না। অমিত মিশ্রও বেশ ভাল, কিন্তু অশ্বিন আহত হয়ে যাওয়ায় ভারত একটা ভাল বোলারকে হারাল।
একটা ব্যাপারেই ধোনির সমালোচনা করা যায়। কেন ডি ককের মতো বিপজ্জনক একটা ব্যাটসম্যানকে আউট করার পরও অশ্বিনকে মাত্র এক ওভার বল করিয়েই তুলে নেওয়া হল। অশ্বিনকে যখন ফেরাল ধোনি, তখন বাকি দুই ব্যাটসম্যান থিতু হয়ে গেছে এবং রান তোলার চেষ্টা করছে। তিন নম্বরে অজিঙ্কা রাহানে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে এবং রোহিতের সঙ্গে ওর জুড়িটা ভারতকে একটা ভাল জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু কোহলিও সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে যাওয়ায় ভারত সেই মুহূর্তটা ধরে রাখতে পারেনি। প্রচণ্ড গরমের জন্য রোহিতকেও ক্লান্ত লাগছিল। ওই কয়েকটা ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ফেরত চলে আসে। রাবাদা শেষ দুই ওভারে ধোনি আর বিনিকে তুলে নিয়ে ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেয়।
১৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি