স্পোর্টস ডেস্ক: আবারও পত্রিকার ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে বীরেন্দর শেবাগ। এবার অবশ্য ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে নয়। বুড়োদের মাস্টার্স ক্রিকেট ছাড়া আর সেভাবে খেলায় জড়িয়ে নেয় ‘বীরু’। শেবাগকে প্রচ্ছদে এনেছে তাঁর নতুন পরিচয়ে পাওয়া দারুণ জনপ্রিয়তা। যেখানে ব্যাট নয়, শেবাগের অস্ত্র টুইটার!
টুইটারে টুইট করে শেবাগ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাঁর রসবোধের কারণে নানা সময়ে বিভিন্ন টুইটার ভাইরালও হয়। সেই শেবাগকে তুলে এনেছে হিন্দুস্তান টাইমসের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ব্র্যাঞ্চ। আর তাতে শেবাগ জানিয়েছেন, টুইট করে গত ছয় মাসে তাঁর আয় ৩০ লাখ রুপি!
শেবাগ বলেছেন, ‘টুইট করে গত ছয় মাসে আমি প্রায় ৩০ লাখ রুপির মতো আয় করেছি।’ টুইটগুলো বানের স্রোতের মতো ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও পণ্যের বিপণন কর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করে।
শেবাগ বলেছেন, ‘আমি টুইটারে জোকস শেয়ার করতাম। সেগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে যায়। আমার অনুসারী সংখ্যা বাড়তে থাকে, কিছু কিছু পোস্ট তো কয়েক হাজারবার শেয়ার হয়েছে। এ রকম প্রচুর শেয়ার হওয়ার পর স্পনসরদের কাছ থেকে টাকা আসতে শুরু করে।’
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে মেসি-রোনালদো-নেইমাররা অনেক আগে থেকেই আয় করেন। গত বছর এই গবেষণা সংস্থা জানিয়েছিল, যদি টুইটারে একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন করেন, সেই টুইট থেকে রোনালদোর আয় হতে পারে ২ লাখ ৩০ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি প্রায় ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
শেবাগের টুইটারে গিয়ে দেখা গেছে, এরই মধ্যে তাঁর ডিজিটাল প্রচারণ ও বিজ্ঞাপনের জন্য একজন লোকের নম্বরও দিয়ে রেখেছেন। শেবাগ সরাসরি কোনো পণ্যের প্রচারণা করেন না সাধারণত। তাঁর নিত্যকার টুইটের মধ্যেই এক ফাঁকে কোনো পণ্যের কথা বলে দেন।
যেমন ভারতে নোট সংকটের সময় মজা করে টুইট করতে গিয়ে একটি অনলাইন লেনদেন সেবার কথা লিখেছেন টুইটে। কখনো টুইট করেছেন তিনি কোন এয়ারলাইনসে করে কোথাও যাচ্ছেন। দুই-তিন লাইনের যে ছড়াগুলো বানান, এর মধ্যেও কখনো কখনো ঢুকিয়ে দেন বিজ্ঞাপন।
সেটাই ছড়িয়ে যায় তাঁর ৮০ লাখেরও বেশি অনুসারীর মধ্যে। আইডিয়াটা মন্দ নয়! অবশ্য এ ধরনের ডিজিটাল প্রচারণা অনেকের কাছে নতুন হলেও এর শুরুটা কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরেই।-প্রথম আলো
০৯ জানুয়ারি২০১৭/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস