অগ্নি পান্ডে, ইন্দোর থেকে : দেরি করেনি মোটেও, জিতেই বোমাটা ফাটালেন ধোনি। ইন্দোরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেই ফেললেন, ‘শুধু আমার একটা ভুলের অপেক্ষা। সবাই খোলা তরোয়াল নিয়ে অপেক্ষা করছে। তাই ম্যাচটা সহজ ছিল না।’ কী বলছেন ধোনি! আসলে কানপুরের পর তাকে যেভাবে সমালোচিত হতে হয়েছে, তা ভুলে যাননি ভারত–নেতা। সেজন্যই এমন বিস্ফোরণ।
তার টেলএন্ডারদের বাঁচাতে গিয়ে নিজে হাতছাড়া করেছেন নিশ্চিত শতরান। না, সেজন্য মনখারাপ নেই ভারতীয় অধিনায়কের। জিতলে সাধারণত তাকে সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা যায় না। তিনি পাঠিয়ে দেন অন্য কাউকে। কিন্তু ইন্দোরে ‘ম্যাচের সেরা’ নিজেই এলেন। ধোনিকে দেখে হামলে পড়লো মিডিয়া। পুলিসি প্রহরায় তাকে ফিরতে হল ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। হামলে–পড়া মিডিয়ার উত্তর দিলেন খোশমেজাজেই।
শতরান হাতছাড়া হওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই? হাসছেন ধোনি। ‘দলের স্বার্থে শতরান হাতছাড়া হলে মন খারাপ হয় না। টেলএন্ডারদের বাঁচানো দরকার ছিল। কারণ, পুরো ৫০ ওভার খেলতে চেয়েছিলাম। তবে হ্যাঁ, দিনের শেষে পরিসংখ্যানে লেখা থাকবে আমার শতরানের চেয়ে নব্বইয়ের ঘরে রান বেশি। যা নিয়ে আমি খুশি।’
দল জেতায় বেজায় খুশি ধোনি। ম্যাচ শেষ হতেই যেভাবে স্টাম্প নেওয়ার জন্য ছুটলেন ধোনি, তা খুব একটা দেখা যায় না। তিনি বলছেন, ‘ধরমশালায় আমরা একটা বাজে ওভারের জন্য হেরে গেছিলাম। কানপুরে ব্যাটিংয়ের জন্য হারি। এখানে জয়টা দরকার ছিল। সত্যি খুব ভাল জয় পেলাম।’ তিনিই বলতে গেলে নিয়ে এলেন। তা মানতে চান না। ধোনি বলছেন, ‘পুরো ৫০ ওভার খেলতে চেয়েছি। খেলেছি। আসলে প্রথমে ব্যাট করলে একটাই সুবিধা যে, যত রানই হোক না কেন, বিপক্ষকে সেই রানটা তুলতে হবে জেতার জন্য। আমাদের স্পিনাররা খুব ভাল বোলিং করেছে। মাঝে পেসাররা। সতি্য বোলারদের জন্যই জিতলাম।’
নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে মুখ খুলেছেন ধোনি। ‘টেস্ট ছাড়ার পর ভেবেছিলাম যে একদিনের ম্যাচে চার নম্বরেই ব্যাট করব। কিন্তু এখন দলের কম্বিনেশন ঠিক করতে গিয়ে দেখছি আমাকে পাঁচে কিংবা ছয়ে ব্যাট করতে হবে। সেটাই করছি। রাহানেকে তিন থেকে সরানো যায় না। বিরাট চার নম্বরে। বিরাট এত ভাল ব্যাটসম্যান ওকে যে কোনও পজিশনেই খেলানো যায়। ও হাতে ৩০ ওভার পেলে সেঞ্চুরিও করে দিতে পারে। দলের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
চাপ ছিল যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন? ধোনি হাসতে, হাসতে বলে ওঠেন, ‘চাপ সে তো সবসময় থাকে। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবসময় আমার ওপর চাপ থেকেছে। এখনও আছে। কোনও ম্যাচে ১০০ করলে পরের ম্যাচে থাকে প্রত্যাশার চাপ। মিডিয়ারও চাপ থাকে। আমি চাপ নিয়েই মাঠে নামি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এ বি ডি’ভিলিয়ার্স স্বীকার করে নিলেন তাদের ব্যাটিং–ব্যর্থতা। ‘টার্গেট সহজ ছিল। আমরা পারিনি। ব্যাটসম্যানদের জন্য হেরে গেলাম। ভারত আবার তাদের কন্ডিশনে ওপরে উঠে এল। পরের ম্যাচ আমাদের ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে।’
১৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি