বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭, ০১:১০:০২

নাসরিনের সাথে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছেন সানি!

নাসরিনের সাথে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছেন সানি!

রুদ্র মিজান : নাসরিন সুলতানার সঙ্গে ছয় মাস সংসার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ক্রিকেটার আরাফাত সানি। এমনকি তার সঙ্গে বিয়ের বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন তিনি। একদিনের রিমান্ডে বারবার পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, নাসরিনকে বিয়ের প্রলোভন ও বিয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এসবই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

এই সুযোগ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন ওই তরুণী। নাসরিন সুলতানা নামে ওই তরুণীর তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসী ও  তার ভক্তদের কাছে দোয়া চেয়ে বলেছেন, নাসরিনের অভিযোগ সত্য না। ষড়যন্ত্র। আমি এই অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই। এই কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।

সূত্রে জানা গেছে, সোমবার মোহাম্মদপুর থানায় আরাফাত সানিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা অভিযোগ সম্পর্কে সানি জানিয়েছেন, সে তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। তাই নিজেদের ছবি আদান-প্রদান হয়েছে। সেখানে কোথাও কোনো হুমকি দেয়া হয়নি। সানি বলেছেন, আমার সুন্দর একটা ক্যারিয়ার আছে। এমন কিছু করতে পারি না যাতে আমার নিজের ক্ষতি হয়। নাসরিনকে তো মানুষ চিনে না। ক্ষতি যা হবে আমার। নাসরিন তাকে ফাঁদে ফেলতে চাচ্ছে।

সূত্রমতে, সানি পুলিশকে জানিয়েছেন তার ভক্ত পরিচয় দিয়েই প্রথম কথা বলেছিলেন নাসরিন। তারপর থেকে নাসরিনই তাকে কল দিতেন। কথা বলতে চাইতেন। তার অনুশীলনের সময় ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে বসে থাকতেন। এ থেকে বন্ধুতা হয়েছিলো। দেখা হতো মাঝে-মধ্যে। এভাবেই ঘনিষ্ঠতা হয়। কিন্তু বিয়ে করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। নাসরিনকে বিয়ে করবেন এরকম কোনো প্রতিশ্রুতিও দেননি তিনি।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, নাসরিনের সঙ্গে সানির সম্পর্ক ছিল। সানি এ বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন। কিছু বলেননি। নাসরিনের সঙ্গে বিয়ে ও শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সানি। সানি ও নাসরিনের বক্তব্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

আইসিটি ধারায় করা মামলা সম্পর্কে ওসি বলেন, অভিযোগের পুরোপুরি সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিছু ছবি আমাদের হাতে রয়েছে। এসব ছবি ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।  

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আরাফাত সানিকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে সানির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। কিন্তু জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসেন টিপু তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ৫ই জানুয়ারি সানিকে আসামি করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন নাসরিন সুলতানা। পরে ২২শে জানুয়ারি সানিকে তার সাভারের আমিন বাজারের বাসা  থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলায় নাসরিন অভিযোগ করেন, সানির সঙ্গে সাত বছরের পরিচয়ে প্রেম  ও এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর বিয়ে হয় তার। বিয়ের কাবিননামায় ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। পরে সানি নানা অজুহাতে তাকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে অসম্মতি জানান।

কিছুদিন আগে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠিয়ে নাসরিনকে হুমকি দেন। পরে গত ২৩শে জানুয়ারি সানি ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির  অভিযোগে আরো একটি মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ঢাকার মহানগর হাকিম  মো. রায়হান আহম্মেদের আদালত মামলার অভিযোগটি আমলে নিয়ে আরাফাত সানি ও তার মায়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এমজমিন
২৫ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে