শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:০৪:০০

ইডেনে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

ইডেনে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

স্পোর্টস ডেস্ক : সুপার সপারের গা থেকে খুলে খুলে পড়ছে স্পঞ্জ৷ তা কুড়িয়ে বাইরে ফেলতে হচ্ছে মাঠ কর্মীদের৷ এমনই অভিনব দৃশ্য দেখা গেল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইডেনে৷ নিট ফল, আরও একবার বৃষ্টিতে ভেসে গেল ম্যাচ৷ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো ইডেনের ভেঙে পড়া পরিকাঠামো৷ সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠে গেল এপ্রিলে টি টোয়েন্টি ফাইনাল এখানে করা যাবে তো? বৃষ্টি এবং কালবৈশাখির সম্ভাবনা ওই সময় প্রবল৷ জগমোহন ডালমিয়ার এনে দেওয়া ম্যাচ সরে যাবে না তো? নয়া প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীর কাছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ রঞ্জি ট্রফিতে রাজস্থান ছিল সবচেয়ে দুর্বল টিম৷ মনোজ তিওয়ারির বাংলা এই ম্যাচ সরাসরি জিততে চেয়েছিল৷ ঘরের মাঠে প্রথম দিনই সেই সম্ভাবনা ধাক্কা খেল মাত্র আধ ঘণ্টার বৃষ্টিতে৷ কিছু দিন আগে দুপুরের বৃষ্টিতে রাতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার টি টোয়েন্টি ম্যাচ করা যায়নি৷ আর বৃহস্পতিবার বৃষ্টি এলো দুপুর পৌনে একটায়৷ বেশ জোরে বৃষ্টি৷ দশ-পনেরো মিনিটের মধ্যেই জল দাঁড়িয়ে গেল মাঠে৷ ম্যাচ যে আর হবে না, তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ এখন যা পরিস্থিতি, আজও ম্যাচ শুরু করা বেশ কঠিন৷ খুব ভালো কাজ হলে লাঞ্চের পর খেলা শুরু হলেও হতে পারে৷ কিন্ত্ত সিএবির পরিকাঠামোর যা অবস্থা! এই বৃষ্টিতে বিশ্বের কোনও মাঠে এত বেসামাল অবস্থা হত না৷ যা হয়েই চলেছে ইডেনে৷ এই মরসুমেই বৃষ্টির জন্য তিনটে ম্যাচ বাতিল হল৷ আইপিএলে কলকাতা-রাজস্থান ম্যাচ৷ সদ্য ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এ দিন বাংলা-রাজস্থান রঞ্জি৷ এই পরিকাঠামো বদলানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামছেন নতুন প্রেসিডেন্ট সৌরভ৷ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেই তিনি বলে দিলেন, 'তিন মাসের মধ্যে ইডেনের পরিকাঠামো বদলাব৷ বোর্ডের চিফ কিউরেটর দলজিত্‍ সিং আসছেন৷ একটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে৷ তারা এক মাসে মাঠ বদলে দিতে পারে৷' প্রশ্ন হল, এত দিন তা হলে কিছু হল না কেন? সিএবিতে জোর আলোচনা, কী করছেন গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান দেবব্রত দাস? দুপুর থেকে এসে সৌরভের ঘরে বসে থাকাটাই যেন তার একমাত্র কাজ! অথচ, সুপার সপারের যে এমন করুণ অবস্থা, সে নিয়ে কোনও মাথাব্যাথাই নেই! সব দোষ বিদায়ী কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের উপরে চাপিয়েই খালাস৷ তবে সৌরভ এ দিন বললেন, 'প্রবীরদার সঙ্গে আমি কথা বলব৷ আমাদের নতুন সচিব অভিষেকও কথা বলবে৷ তারপর সিদ্ধান্ত৷' ইডেনের মাটির যা চরিত্র, তাতে বৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ শুরু করা খুব কঠিন৷ ড্রেনেজ সিস্টেমের অবস্থাও খুব খারাপ৷ কত দিন যে এই ড্রেন সাফ করা হয়নি, কেউ জানে না৷ মাঠ ঢাকা নিয়েও বড় সমস্যা৷ মাত্র জনা চল্লিশ মাঠ কর্মী ছিলেন এ দিন৷ যাঁরা পুরো মাঠ ঢাকার আগেই বৃষ্টি সব ভাসিয়ে দিল৷ আম্পায়ারদেরও দোষ কম নয়৷ বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা দেখেও ম্যাচ খেলিয়ে গেলেন৷ অন্তত তিন ওভার আগে যদি খেলা বন্ধ করতেন, তা হলে মাঠ ঢাকার জন্য কিছুটা সময় পাওয়া যেত৷ যখন বৃষ্টি নামল, রাজস্থানের তখন ১০২ রানে তিন উইকেট পড়ে গিয়েছে৷ বীরপ্রতাপ সিং একটি ও প্রজ্ঞান ওঝা দুটি উইকেট নিয়েছিলেন৷ টিমে নিয়েও খেলানো হল না প্রদীপ্ত প্রামাণিককে৷ সকালে উইকেট দেখে নাকি তিন স্পিনার খেলানোর ভাবনা বদলানো হয়৷ এ সব ভাবনা মুছে এখন বৃষ্টির সঙ্গেই লড়াই ইডেনের৷ ১৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে