শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩৯:২৯

সেই অপেক্ষায় আশরাফুল

সেই অপেক্ষায় আশরাফুল

স্পোর্টস ডেস্ক: চার মৌসুম পর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের শাস্তি তাকে খেলতে দেয়নি ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট লিগের চারটি আসর। তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬-১৭ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে ফিরছেন এক সময়ের মাঠ কাঁপানো এই ব্যাটসম্যান। দলবদলে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে নাম নিবন্ধন করেছেন তিনি। লিগ শুরু হবে ৭ এপ্রিল।

প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই নিজেকে ফিরে পাওয়ার আশা করছেন আশরাফুল। এই বিষয়ে আশরাফুল বললেন, ‘শেষ যে প্রিমিয়ার লিগ খেলেছিলাম, যতগুলো ম্যাচ খেলেছিলাম, আমার ক্লাব প্রাইম ব্যাংক ছিল এক নম্বরে। শেষের তিনটা ম্যাচ খেলতে পারিনি। এবার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে খেলবো। চার বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে পারিনি। খুব মিস করেছি। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর জাতীয় লিগ দিয়ে শুরু করেছিলাম। বৃষ্টির কারণে দুটি ম্যাচ হয়নি। সেভাবে ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি। তারপর লম্বা বিরতি। এবার আশা করবো প্রথম পর্বের ১১টা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। সুপার লিগে যেতে পারলে আরও পাঁচটা। ব্যক্তিগতভাবে ভালো করতে চাই, টিম হিসেবেও ভালো করতে চাই। যত বেশি খেলতে পারবো ততই ভালো ভালো ইনিংস উপহার দিতে পারবো। এতদিন পর ফেরা অন্যরকম একটা অনুভূতি।’

আশরাফুলের মতে প্রিমিয়ার লিগ দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চ। যেখানে প্রমাণ করতে পারলে জাতীয় দলের পথ খুঁজে পাওয়া সহজ হয়, ‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সব ক্রিকেটারের জন্য বড় একটা মঞ্চ। এখানে যারা ভালো করতে পারে তারাই কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ পায়, ভালো করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের সাফল্যের পেছনে ঢাকা লিগের অবদান কম নয়। এখানে কঠিন প্রতিযোগিতা হয়। সবাই এখানে ভালো করতে পারে না। বিদেশি বড় বড় ক্রিকেটাররাও এসে হোঁচট খায়। জাতীয় লিগে বেশি খেলার সুযোগ পাইনি। এখানে সুযোগ পাব।’

কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে আশরাফুলের দলে আছেন তুষার ইমরান, নাবিল সামাদ, আবুল হাসান রাজুর মতো অভিজ্ঞরা। আছেন সঞ্জিত সাহা দ্বীপ, জয়রাজ শেখ ইমন, সালেহ আহমেদ শাওন, আলী আহম্মদ মানিকের মতো উঠতি ক্রিকেটার।

বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের শাস্তি হিসেবে তিন বছর ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন আশরাফুল। নিজেকে ক্রিকেটের মধ্যে রাখতে সুযোগ খুঁজেছেন ম্যাচ খেলার। অপেশাদার টুর্নামেন্ট খেলেছেন দেশের বাইরে গিয়ে। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় খ্যাপ খেলেছেন। যখন যেখানেই ম্যাচ খেলার ডাক পড়েছে, ছুঁটে গেছেন সেখানে।

বিপিএলে ম্যাচ পাতানোয় জড়িয়ে আট বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পান আশরাফুল। শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলের পর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমে দাঁড়ায় পাঁচ বছরে। এর মধ্যে দুই বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় শাস্তিটা আসলে তিন বছরের। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট শুরু হয়েছে এই শাস্তি, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঢাকা মেট্রোর হয়ে জাতীয় লিগে অংশ নেন অভিষেকেই সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া আশরাফুল। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটের ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরছেন তিনি। মুখিয়ে আছেন ফেলে আসা ব্যাটিং ফর্ম ফিরে পেতে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা উঠবে ২০১৮ সালের আগস্টে। তখন বিপিএল খেলার অনুমতিও পাবেন আশরাফুল।
১৮ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে