রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭, ০৩:৪৩:৪৯

টাইগার ভক্তদের কোনো ভয় নেই, ম্যাচের ৯৯ ভাগই বাংলাদেশের পক্ষে

টাইগার ভক্তদের কোনো ভয় নেই, ম্যাচের ৯৯ ভাগই বাংলাদেশের পক্ষে

স্পোর্টস ডেস্ক : টাইগার ভক্তদের কোনো ভয় নেই। জয়ের একদম কাছাকাছি বাংলাদেশ। এখন ৯৯ ভাগই ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে। রঙ্গনা হেরাথ অল্প একটু উত্তেজনাই ছড়াতে পারলেন। নিজের অষ্টম ওভারে পরপর দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক।

কিন্তু তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমানের জুটিতে লঙ্কা জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। অবশ্য তামিমকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে অযথা একটি শট খেলে। কয়েক ওভার পর  সাব্বির আউট হন পেরেরার বলে।

৪৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৬ রান করেছে সফরকারীরা। ইতিহাস গড়তে দরকার আর ৩৫ রান। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ক্রিজে থেকে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
শততম টেস্টে জয়ের লক্ষ্যটা খুব বেশি নয়- ১৯১ রান।

শেষদিন প্রায় তিন সেশন হাতে পেয়েছিল বাংলাদেশ। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের উপর ভরসা রেখে সেই যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু রঙ্গনা হেরাথের স্পিনে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল মুশফিকরা। সেই চাপ থেকে কিছুটা বের হতে পেরেছে তারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে।

২২ রানে দু্ই উইকেট হারানোর পর তামিম ও সাব্বিরের শতাধিক রানের জুটিতে সহজ জয় উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের শততম টেস্টে। প্রথম ইনিংসের ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি হয়নি তামিমের। দ্বিতীয় ইনিংসে তাই সাবধানী ব্যাটিং করেছেন তিনি।

যার ফলে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি। ৮৭ বলে পঞ্চাশ ছোঁন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮২ রানে দিলরুয়ান পেরেরাকে বেশ উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে দিনেশ চান্ডিমালের ক্যাচ হন তামিম। ভাঙে ১০৯ রানের জুটি। পরে সাব্বির ৪১ রানে আউট হন এলবিডব্লিউ হয়ে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় শ্রীলঙ্কা।

এর আগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে বড় ধাক্কা দেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। তামিমের সঙ্গে ভালো জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন সৌম্য। কিন্তু অষ্টম ওভার পর্যন্ত স্থায়ী হয় তাদের জুটি। নিজের চতুর্থ ওভারে হেরাথ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।

লঙ্কান অধিনায়কের শর্ট বলে সৌম্যর আগ্রাসী শট লং অফে দৌড়ে এসে মুঠোবন্দি করেন উপুল থারাঙ্গা। গলেতে ৭১ ও ৫৩ এবং কলম্বোয় প্রথম ইনিংসে ৬১ রানের ইনিংস খেলা সৌম্য থামেন ১০ রানে। মাত্র ২৬ বল ক্রিজে মোকাবিলা করেছেন এ ওপেনার।

এক উইকেট হারানোর ব্যথা ভোলারও সময় পায়নি বাংলাদেশ। হেরাথের অফসাইডে আসা বলটি ইমরুল কায়েস তুলে দেন স্লিপে দাঁড়ানো আসেলা গুনারত্নের হাতে। প্রথম ইনিংসে ৩৪ রান করা ইমরুল এবার রানের খাতা খুলতে পারেননি।

দুইজন ব্যাটসম্যান চলে যাওয়ার ধাক্কা সামাল দেন তামিম ও সাব্বির। শনিবার শেষ দুই সেশনে চমৎকার পারফর্ম করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের নৈপুণ্যে ২৩৮ রানে শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেট নেয় তারা। কিন্তু দিন শেষ হয় দিলরুয়ান পেরেরা ও সুরাঙ্গা লাকমলের প্রতিরোধে।

পঞ্চম দিন সকালে প্রথম ঘণ্টা তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। অবশেষে সেই শক্ত জুটির সমাপ্তি হলো বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে। সফরকারীদের মিসফিল্ডিংয়ের সুযোগে রান নিতে চেয়েছিলেন পেরেরা। কিন্তু শুভাশীষ রায়ের থ্রোতে মেহেদী হাসান মিরাজ নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে পেরেরার পৌঁছানোর আগেই স্টাম্পে লাগান। রান আউটে বিদায় নিতে হয় পেরেরাকে। এর আগে ১৭৪ বলে ৫০ রান করেন তিনি।

এ আউটে ভাঙে ২১.২ ওভারে গড়া ৮০ রানের শক্ত জুটি। পরের ওভারে সাকিবকে মারতে গিয়ে লং অফে মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ হন লাকমল। ৪২ রানে তিনি আউট হলে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। ১১৩.২ ওভারে ৩১৯ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
১৯ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে