স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতি বলে দাম ওঠে ১০ থেকে ৫০০ টাকা। আর এক ওভারে তা গড়ায় ১০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত। এটা জুয়ার দাম। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে এমন জুয়ার উন্মাদনা চলছে নগরজুড়ে।
জুয়াতে মেতে ওঠাদের প্রায়ই নিম্নআয়ের মানুষ হলেও, সেই দলে আছেন শিক্ষার্থীরাও। মঙ্গলবার রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার শেরশাহ এলাকার মিজান নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন চায়ের দোকানে বসা জুয়ার আসর থেকে তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক যুবকরা হলেন, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানার মো মঞ্জুর আলমের ছেলে মো. সোহেল (২২), রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মৃত মো. শামসুল আলমের ছেলে মো. রুবেল (২৪) ও চাঁদপুরের কচুয়ার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে মো. হারুন অর রশিদ (২২)। তাদের সঙ্গে থাকা জুয়ার ৮০০ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে সোহেল একসময় ইউনি গ্রুপে চাকরি করতেন, বর্তমানে বেকার। রুবেল ডাব এশিয়ার অপারেটর এবং হারুন অর রশিদ নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজে পড়েন।
পুলিশ সূত্র জানায়, নগরীর নিম্নআয়ের লোকজনের বসতি যেখানে আছে, এমন এলাকার চায়ের দোকান, গলির ভেতর, বিভিন্ন ক্লাব-সমিতির অফিসে আইপিএল নিয়ে জুয়াখেলা চলছে।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘আইপিএল’র ম্যাচ নিয়ে তারা ওই দোকানে জুয়ার আসর বসায়। এসময় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আইপিএল নিয়ে চলমান জুয়া চক্রের সদস্য তারা।
এক বলে কত রান হবে বা ওই বলে উইকেট পড়া-না পড়া নিয়ে জুয়া চলে ১০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত এবং প্রতি ওভারে কতো রান হবে তা নিয়ে ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জুয়া চলে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরার চেষ্টা করছি। ’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আইপিএল’র নামে জুয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। ’
১৩ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস