স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন দেশের পক্ষে রেকর্ড ৬৯টি ওয়ানডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও অংশ নিয়েছেন ২০০০, ২০০২ ও ২০০৬ সালের এই তিন আসরে। ১১ বছর আগে তাঁর নেতৃত্বেই সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যায় বাংলাদেশ।
আসছে, এক জুন যখন প্রথমবারের মত সরাসরি মর্যাদার এই আসরে অংশ নিতে যাচ্ছে তখনও থাকছেন সেই সুমন। না, এবার আর অধিনায়ক হিসেবে নয়। এবার তার কাঁধে আরও বড় দায়িত্ব। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক কমিটির এই সদস্যকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশ শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচন করেছে।
জমজমাট এই আসরে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারী আট দেশ থেকে আটজনকে শুভেচ্ছদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তাঁর সাথে আরও থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান মাইক হাসি, ভারতের অফস্পিনার হরভজন সিং, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ, নিউজিল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার শেন বন্ড, ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ইয়ান বেল, শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা ও পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
এমন এক অর্জনের দাঁড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে হাবিবুল বাশার সুমন মুখোমুখি হয়েছেন।
দারুণ এক প্রাপ্তি। কেমন লাগছে?
আমি খুবই গর্বিত খুবই সম্মানিত বোধ করছি যে আইসিসি আমাকে এই কাজের জন্য যোগ্য বলে মনে করছে। সত্যি খুবই ভাল লাগছে। ক্রিকেটের সাথে থাকতে সব সময়ই চাই। এই কাজটাই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। সব মিলিয়ে এটাকে আমি আমার জন্য বড় প্রাপ্তি হিসেবেই দেখছি।’
আপনার সাথে বাকি সাতটা দেশের সাতজন কিংবদন্তি আছেন। নিশ্চয়ই খুব রোমাঞ্চিত...
আমার সাথে যারা আছেন তারা বড় স্টার, কিংবদন্তি। তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটাও আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। সত্যি আমি খুবই রোমাঞ্চিত।
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আপনাকে কি ধরণের কাজ করতে হবে?
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রচারণামূলক বেশ কিছু কাজে আমাদের অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে আছে ওদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখা। কয়েকটা ইভেন্টে অংশ নেওয়া, কিছু অনুষ্ঠানে আইসিসির প্রতিনিধি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।-খেলাধুলা
১৩ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর