স্পোর্টস ডেস্ক: দুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের এক বিবৃতির কারণে আইসিসির প্রস্তাবিত আর্থিক অবকাঠামো বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারতীয় বোর্ড এখন যে পরিমাণ লাভের টাকা পায়, প্রস্তাবিত কাঠামো বাস্তবায়িত হলে, তারা কিছুটা কম পাবে।
কিন্তু বিসিবি যদি এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়, তবে ভারতীয় বোর্ডের লাভের অংশ বর্তমানের মতোই থাকতে পারে। পাপন যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে মনে হয়েছে ভারতীয় বোর্ডের স্বার্থে প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরুদ্ধে ভোট দিতে যাচ্ছে বিসিবি।
নাজমুল হাসান পাপনের এমন অবস্থানের সমালোচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন রেখেছে যে— বিসিবি কি ভারতের বোর্ডের পকেটে ঢুকে যাচ্ছে?
প্রস্তাবিত কাঠামোতে সবগুলো দলের চেয়ে ভারতই বেশি অর্থ পাবে, তবে তা তাদের বর্তমান অংশের চেয়ে পরিমাণে কিছুটা কম হবে। এটাই মেনে নিতে পারছে না ভারতীয় বোর্ড। এ কারণে তারা চেষ্টা করছে আইসিসির আগামী সভায় প্রস্তাবটি বাতিল করে দিতে। এ জন্য কয়েকটি বোর্ডের পক্ষপাত দরকার তাদের। ধারণা করা হয়, প্রস্তাবিত আর্থিক কাঠামো বাস্তবায়িত হলে ভারত বর্তমানের চেয়ে ১৮০ থেকে ১৯০ মিলিয়ন ডলার কম পাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, কদিন আগে পাপন ভারতীয় বোর্ডের প্রশাসন বিষয়ক কমিটির প্রধান বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। ধারণা করা হয়, আইসিসির পরবর্তী সভায় বাংলাদেশ যাতে ভারতের পক্ষে ভোট দেয়, সেটা নিশ্চিত করতেই পাপনকে ডেকেছিলো ভারতীয় বোর্ড।
বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে দেখা করার পর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘আর্থিক অবকাঠামো চূড়ান্ত করার জন্য সবাই একটা মধ্যম পথ খুঁজছে। আমরা চাই না কোনো সদস্য দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হোক, বিশেষ করে ভারত; কারণ তারা আমাদের সব সময় সমর্থন করেছে। ভারত দুর্বল হলে আমরাও দুর্বল হয়ে যাবো। ’
পাপন এ সময় একটি ন্যায়সঙ্গত আর্থিক অবকাঠামোর কথাও বলেন। দক্ষিণ আফ্রিকান সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ‘পাপন বলছেন তিনি অর্থ ভাগের ন্যায়সঙ্গত উপায়ের পক্ষে, কিন্তু ভারতের অংশ যে কমানো উচিত, এটা তিনি বুঝতে পারছেন না। প্রতিটি বোর্ডকে যথাযথভাবে অর্থ বরাদ্দ দেয়া ছাড়া কিভাবে একটা অসম পদ্ধতিকে ন্যায়সঙ্গত করা যায় কিংবা অর্থ বরাদ্দে বৈষম্য থাকলে কারা বেশি লাভবান হয়; এটা স্পষ্ট করার ক্ষমতা পাপনের নেই। ’
১৪ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর