স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে শনিবারেই দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছে কেকেআর। তার আগে কাশ্মির ইস্যু নিয়ে ভালো কথা বলতে গিয়ে উল্টে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গাম্ভীর। তাকে জেলে পোরার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল সোশাল মিডিয়া।
গাম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভারতের জাতীয় পতাকায় থাকা তিনটি রংয়ের (তেরঙা) ভুল অর্থ টুইটারে পোস্ট করেছিলেন। কাশ্মির ইস্যুতে দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একহাত নিয়ে বৃহস্পতিবার টুইটে তিনি বলেছিলেন, দেশদ্রোহীরা এটা ভুলে গিয়েছেন আমাদের জাতীয় পতাকার অর্থ। গেরুয়া হলো আমাদের রাগের আগুন, সাদা জিহাদিদের আচ্ছাদন এবং সবুজ সন্ত্রাসীদের প্রতি ঘৃণার প্রতীক।
গোলমালটা এখানেই। ভারতের জাতীয় পতাকার ত্রিবর্ণের অর্থ ব্যাখ্যা করেছিলেন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি দার্শনিক সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ। সেই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গেরুয়া ত্যাগের, সাদা সত্যের এবং সবুজ কৃষিজীবিকার ও পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের প্রতীক। কিন্তু ঠিক কেন এই অর্থের বদল ঘটালেন গাম্ভীর, সেটা স্পষ্ট হতে পারে তার অন্য টুইট থেকে।
কেকেআর কাপ্তান একটি ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে লেখেন, কাশ্মীরে ধ্বস্ত, ত্রস্ত পরিস্থিতিতে গালিগালাজ করা হচ্ছে আমাদের সেনা সদস্যদের। ওখানকার লোকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন। সেই ভিডিওর সত্যতা নিরূপণ না করা গেলেও দেখা যাচ্ছে, একদল সেনাকে রীতিমতো মারধর করছে স্থানীয় মানুষ। সেই ভিডিও আবার পোস্ট করা হয়েছিল সর্বভারতীয় এক ইংরেজি ওয়েবসাইটে। সেই প্রেক্ষিতেই নিজের ক্রোধ উগরে দিয়েছিলেন কেকেআর দলনেতা।
তেরঙার অর্থ বদলে যেতেই এবার তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠল খোদ সোশাল মিডিয়াতেই। প্রশান্ত কুমার রায় নামে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, তেরঙাকে একটা আচ্ছাদন এবং ঘৃণার প্রতীক বলার জন্য গাম্ভীরের বিরুদ্ধেই দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হতে পারে।
সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষও সরব গাম্ভীরের টুইটের জন্য, যদি কাউকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে জেলে পুরতে হয়, তাহলে গাম্ভীরকেই পোরা উচিত। জাতীয় পতাকা কখনও আচ্ছাদন হতে পারে না।
অপর এক সাংবাদিক রানা আয়ুবের আবার খোঁচা, মহাশয়, আপনার দলের মালিকের বিরুদ্ধেই দেশদ্রোহিতার অভিযোগ উঠেছিল। নির্বুদ্ধিতার সীমা থাকা উচিত। হরিশ আন্নামালাই নামে অন্য এক টুইটার ব্যবহারকারী আবার সরাসরি গাম্ভীরকে জঙ্গি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
১৫ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস