স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাট হাতে একা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন মনন ভোহরা। তার অনবদ্য ৯৫ রানের (৫০ বল) দৌলতে হারতে বসা ম্যাচ জেতার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল পাঞ্জাব। তবে হায়দ্রাবাদের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমারের অনবদ্য বোলিং পাঞ্জাবের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল।
এদিন ভুবনেশ্বর ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংয়ের সৌজন্যে ৫ রানে ম্যাচ জিতলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
এদিন টসে জিতে কিংস ইলেভেন অধিনায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঘরের মাঠে ধীরে শুরু করে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। শিখর ধাওয়ান মাত্র ১৫ রান করে আউট হন। এরপরে তিন নম্বরে নামা মোয়েস এনরিকেস-ও মাত্র ৯ রান করে ফিরে যান।
এনরিকের উইকেট নেওয়ার পরের বলে যুবরাজ সিংকে (০ রান) প্রথম বলে আউট করেন অক্সর প্যাটেল। অন্যদিকে তখন ব্যাট করছিলেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। পাঁচ নম্বরে নামা নমন ওঝাকে সঙ্গে নিয়ে এরপরে ইনিংস গড়েন ওয়ার্নার।
চতুর্থ উইকেটে গুরুত্বপূ্র্ণ ৬০ রান যোগ করেন দুজনে। ওঝা মাত্র ২০ বলে ৩৪ রান করে ফিরে গেলে তারপরে ফের হায়দ্রাবাদের রান তোলার গতি থমকে যায়। শেষদিকে ওয়ার্নার ব্যাটে কিছুটা ছন্দ ফিরে পেলে ২০ ওভারে ১৫৯/৬ অবস্থায় শেষ করে হায়দ্রাবাদ।
ইনিংসের শেষ বলে রশিদ খান ছয় মেরে দলের রান ১৫৯-এ পৌঁছে দেন। ওয়ার্নার ৫৪ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ভুবনেশ্বর কুমারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন হাশিম আমলা। ওপেনিংয়ে নেমে মনন ভোহরা একদিকে দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্য প্রান্ত থেকে একে একে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১০ রান), ইয়ন মর্গ্যান (১৩ রান), ডেভিড মিলার (১ রান), ঋদ্ধিমান সাহা (২ রান) প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
একসময়ে মাত্র ৮২ রানে ৬ উইকেট খোয়া যায় পাঞ্জাবের। সেখান থেকে পাঞ্জাবকে একার হাতে টেনে তোলেন মনন ভোহরা। শেষপর্যন্ত ভোহরা ৯৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন। ফলে দারুণ লড়াই করেও ৫ রানে ম্যাচ হারতে হয় পাঞ্জাবকে।
হায়দ্রাবাদের হয়ে এদিন দুই আফগান স্পিনার অনবদ্য বল করেন। রশিদ খান ৪ ওভারে ৪২ রানে ২ উইকেট নেন। অন্যদিকে মহম্মদ নবি ৪ ওভারে ২৮ রানে ১ উইকেট নেন। এই জয়ের ফলে হায়দ্রাবাদ ৫ ম্যাচে ৩টি জয় পেল। পাঞ্জাব ৫ ম্যাচে ২টি জয়েই আটকে রইল।
১৮ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসবি