স্পোর্টস ডেস্ক: বয়সটা হয়ে গেছে ৩৭! রিফ্লেক্সে বয়সের ছাপ পড়েছে বলে ফিসফাস! ক্রিস গেইলের শেষের শুরু হয়ে গেছে বলেও আলোচনা!
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম পাঁচ ম্যাচের দুটিতে একাদশের বাইরে থাকতে হওয়ায় হালে পানি পাচ্ছিল ফিসফাস কারীরাই। কিন্তু যার দখলে টি-টুয়েন্টির সব বড় বড় রেকর্ডগুলো, তাকে তো আর এত সহজে বাতিলের খাতায় ফেলা যায় না।
মঙ্গলবার রাতে তাই চিরচেনা গেইলকেই দেখা গেল আরেকবার। ব্যাট হাতে খুনে এক ইনিংসে কেবল এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে অনন্য মাইলফলকেই পা রাখেননি, বেঙ্গালুরুর ২১ রানের জয়ে সেটি আরো অনন্য হয়ে থাকল।
রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে গেইল মাত্র ৩৮ বলে ৫ চার ও ৭ ছয়ে ৭৭ রানের তাণ্ডুবে ইনিংস খেলেছেন। এদিন তিন রান করার পথে ছুঁয়েছেন ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক। সেখানে তার আগে পা রাখতে পারেননি কেউই।
শুরুতে ব্যাট করে গেইলের ঝড়, বিরাট কোহলির ৫০ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ধীরস্থির ৬৪, টিম হেডের ১৬ বলে অপরাজিত ৩০ এবং কেদার জাদবের ১৬ বলে অপরাজিত ৩৮ রানে দুইশ পেরিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে জমা করে ২১৩ রান।
জবাবে গুজরাট লায়ন্স নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৯২ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ২ চার ও ৭ ছয়ে ৪৪ বলে ৭২ করে লড়াই জিইয়ে রেখেছিলেন। সুরেশ রায়না ২৩, রবীন্দ্র জাদেজা ২৩, আর ইশান কিষাণ ২ চার ও ৪ ছয়ে ১৬ বলে ৩৯ রানে সেটা এগিয়ে নিলেও জয়বিন্দু ছুঁতে পারেননি।
গেইল প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে ১০ হাজার রানের মালিক হয়েছেন ২৯০ ম্যাচে এসে। মাত্র ৩ রানের অপেক্ষা কেটেছে বেঙ্গালুরুর ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে। বাসিল থাম্পির অফস্টাম্পের বাইরের বল থার্ডম্যানে পাঠিয়ে ১ রান নিয়েই বিরল ক্লাবে ঢুকে পড়েন তিনি।
গেইল এখন পর্যন্ত সবধরনের টি-টুয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন ১৮টি, হাফসেঞ্চুরি ৬১টি। টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি, ফিফটি ও ছক্কার রেকর্ড এই বাঁহাতির দখলে। মোট ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৭৪৩টি। আর চার ৭৬৯টি। রান তুলেছেন ৪০.৪৭ গড় ও ১৪৯.২০ স্ট্রাইকরেটে।
টি-টুয়েন্টিতে আরো কিছু রেকর্ডের মালিক গেইল। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও তার, সেটি ৩০ বলে। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংসটিও এই ক্যারিবিয়ানের। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয় (১৭টি) গেইলের, যা রেকর্ড। এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ১,৬৬৫ রান করার কীর্তিও তার।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে