স্পোর্টস ডেস্ক: গত কয়েক সিরিজে দল নিয়ে বিসিবির পরীক্ষানিরীক্ষার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও দেখা যেতে পারে কোনো নতুন মুখ।
তবে সেই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সম্প্রতি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পাপন নিশ্চিত করেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নতুন মুখ দেখা যাবে না, সুযোগ পাবেন পরীক্ষিত ক্রিকেটারেরাই।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘দুটি টুর্নামেন্টের জন্য শিগগির দল ঘোষনা করা হবে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা নেই। ওটা বড় টুর্নামেন্ট। পরীক্ষিতরাই থাকবেন সেখানে।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিতে পারি না। এমনকি আমি ইমরুল, মুস্তাফিজ, মাশরাফিকে- যে কিনা দলের অধিনায়ক, তাদের ও আমি বাদ দিতে পারি না।
এমনকি সাব্বির, মিরাজ, মোসাদ্দেকদেরও আমি বাদ দিতে পারবো না। তারা দলের মূল খেলোয়াড়। আমাদের পাইপলাইনে যথেষ্ট খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমরা তাদের এতো বড় টুর্নামেন্টে সুযোগ দিতে পারি না।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকেই রব উঠেছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ছেঁটে ফেলতে চাচ্ছে জাতীয় দলের কোচ-নির্বাচকরা।
কয়েকজন খেলোয়াড় নাকি ইতোমধ্যেই সে বার্তা পেয়েও গিয়েছেন। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তরুণদের নিয়ে দল গড়তে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য তিনজাতি সিরিজ এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আপাতত সে পথে হাঁটছেন না নির্বাচকরা। অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দিয়ে দল গড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দল নিয়ে সুজন বলেন, ‘আমাদের ওয়ানডে দলটা তো প্রস্তুতই। খুব বেশি পরিবর্তন আনার দরকার নাই।
কম্বিনেশন মোটামুটি করাই আছে। ওয়ানডেতে ভালো খেলার কারণে আমাদের দলটা গোছানোই আছে। নতুন মুখের খুব বেশি সম্ভাবনা নাই। ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় খেলা, সুতরাং অভিজ্ঞতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শুরুতেই ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। আর সে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ওভালে। যেখানে মোটামুটি ফ্লাট উইকেটেই খেলা হয়ে থাকে।
এবারের প্রিমিয়ার লিগেও ফ্লাট উইকেটে খেলা হওয়ায় খেলোয়াড়দের বাড়তি প্রস্তুতি হচ্ছে বলে মনে করেন সুজন।
‘ওভালের কন্ডিশন সম্পর্কে আমি জানি। সেখানকার উইকেট খুবই ফ্লাট হবে। আমার মনে হয় প্রিমিয়ার লিগে ফ্লাট উইকেটে খেলা হচ্ছে, এটা ভালো।
এতে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। বোলাররাও শিখতে পারছে। তাদের জানতে হবে, কিভাবে ফ্লাট উইকেটে বোলিং করতে হয়, ইয়র্কার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, স্লগ ওভারে কেমন বোলিং হওয়া উচিত।’
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার আগে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলছে টাইগাররা। তাই মূল টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতিটা ভালো হচ্ছে বলে মনে করেন ম্যানেজার।
‘ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি বাংলাদেশকে দারুণ কাজে দিবে। কারণ সেখানকার উইকেট খুব ফ্লাট। সেখানে খেলাটা তাই দারুণ কাজে দিবে।
খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি ক্যাম্প আছে, আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। আমার মনে হয় এতে দারুণ প্রস্তুতি হয়ে যাবে। ’
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে