স্পোর্টস ডেস্ক: জমে উঠেছে আইপিএল-এর দশম সংস্করণ। জ্বলে উঠেছেন গেইল। মারমুখী মেজাজে রয়েছেন কলকাতা নাইটরাইডার্স-এর ব্যাটসম্যান ইউসুফ পাঠানও।
রেকর্ড দৌড়য় ক্রিস গেইলের পিছনে। তিনি ছোটেন না রেকর্ডের পিছনে। কিন্তু একটা রেকর্ড এখনও ‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’র ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই রেকর্ডের মালিক আবার ইউসুফ পাঠান।
জমে উঠেছে আইপিএল-এর দশম সংস্করণ। জ্বলে উঠেছেন গেইল। গুজরাত লায়ন্স-এর বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওপেনার ৩৮ বলে ৭৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। তার পরেই ‘ধন্য ধন্য’ করছেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
চলতি আইপিএল-এ গেইলের ব্যাট থেকে এখনও সেঞ্চুরি আসেনি। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, আইপিএল-এই পাঁচ-পাঁচটি শতরান করে বসে রয়েছেন গেইল। একাধিক সেঞ্চুরি হাঁকালেও আকাশচুম্বী স্ট্রাইক রেট কিন্তু পাঠানেরই ঝুলিতে। পাঠানের এই রেকর্ড এখনও অধরা থেকে গিয়েছে গেইলের কাছে। ১৩ মার্চ ২০১০-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর বিরুদ্ধে ৩৭ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন পাঠান। হাঁকিয়েছিলেন ৯টি বাউন্ডারি ও ৮টি বিশাল ছক্কা। সেদিন পাঠানের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭০.২৭। পাঠান অবশ্য তখন রাজস্থান রয়্যালস-এর ক্রিকেটার।
এই স্ট্রাইক রেট এখনও পর্যন্ত নেই গেইলেরও। স্ট্রাইক রেটের নিরিখে বিচার করলে ক্যারিবিয়ান ওপেনার রয়েছেন তিন নম্বরে। পাঠান একনম্বরে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। তিনি ৬ মে, ২০১৩-য় ৩৮ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব-এর মিলার সেদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর-এর বিরুদ্ধে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজিয়েছিলেন নিজের ইনিংস। মিলারের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬৫.৭৮।
তৃতীয় স্থানে গেইল। ২০১৩-এর ২৩ এপ্রিল পুণে ওয়ারিয়র্স-এর বিরুদ্ধে গেইল ৬৬ বলে ১৭৫ (অপরাজিত) রানের ইনিংস খেলেছিলেন। গেইলের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬৫.১৫। ১৩টি বাউন্ডারি ও ১৭টি ছক্কা সেই ম্যাচে মেরেছিলেন গেইল।
পাঠান অবশ্য এখন কলকাতা নাইটরাইডার্স-এর প্রাণভোমরা। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-এর বিরুদ্ধে পাঠানের মারমুখী ইনিংসে জিতেছে কেকেআর। পাঠানের কাছ থেকে আগামীদিনে আরও কয়েকটা ঝোড়ো ইনিংস হয়তো দেখবেন দর্শকরা। গেইলও ব্যাটে ‘ক্যালিপসো’র সুর তুলবেন। চলতি আইপিএল-এই হয়তো পাঠানের স্ট্রাইক রেট ছাপিয়ে যাবেন গেইল। ‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’-কে যে বিশ্বাস নেই!-এবেলা
২০ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস