স্পোর্টস ডেস্ক: আবাহনী ছুঁড়ে দিয়েছিল বড় লক্ষ্য। জবাবে ব্রাদার্সও লড়েছে সমানতালে। ফতুল্লায় ব্যাটে-বলের এক জমজমাট লড়াই উপহার দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফল নিজেদের ঘরে টেনে নিয়েছে আবাহনী। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৩২ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে আকাশী-নীলরা। তাতে বৃথাই গেছে ব্রাদার্সের হয়ে জুনায়েদ সিদ্দিকীর ১১৪ রানের লড়াকু ইনিংসটি।
বৃহস্পতিবার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আবাহনীর দেয়া ৬ উইকেটে ৩২৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে ব্রাদার্স থেমেছে ২৯৫ রানে।
আবাহনীর ইনিংসটিতে ছিল শতক এবং অর্ধশতক বঞ্চিতদের ছড়াছড়ি। শুরুতে তাদের ব্যাটিংয়ে বোঝাই যায়নি বড় লক্ষ্য গড়তে যাচ্ছে দলটি। দুই উদ্বোধনী লিটন দাস এবং ভারতীয় উদয় কাউলে শুরুটা হয়েছে ধীরতালে। আউট হওয়ার আগে লিটনের ৪৮ রান এসেছে ৮১ বলে। আর ৬ রানের জন্য শতক বঞ্চিত কাউলের ৯৪ রানের ইনিংসটি ১৭০ বলের!
আবাহনী মূলত ৩২৭ রানের লক্ষ্যের জন্য ধন্যবাদ দিতে পারে শুভাগত হোমকে। ১৭ বলে ৭ চার আর ১ ছয়ে ৪৪ রানের এক ঝড় ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানে আর নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন সমান রানের ইনিংস খেলে।
লক্ষ্য বড় হলেও জবাব দিতে নেমে হাল ছাড়েনি ব্রাদার্স। দলীয় ৩ রানে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রুম্মান আহমেদের উইকেট হারায় দলটি। পরে মিজানুর রহমানকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন জুনায়েদ। মিজানুর ৪২ রানে সাজঘরে ফেরেন। অন্য ব্যাটসম্যানরা ছোট ছোট ইনিংস খেলেও সঙ্গ দিতে পারেননি জুনায়েদকে। লিস্ট-এ ক্যারিয়ারে ১১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১১৪ রানে থামেন জুনায়েদ। তার সাজঘরে ফেরার সময় ব্রাদার্সের সংগ্রহ ২২৬!
শেষদিকে নিহাদুজ্জামানের ৪০ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি কিছুটা আলো দেখিয়েছিল ব্রাদার্সকে। কিন্তু বলের সঙ্গে রানের পাল্লায় পেরে ওঠেনি দলটি।
ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পর বল হাতেও ঝলক শুভাগতর। নিয়েছেন ৪৫ রানে ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটাও গেছে তার হাতেই।
২০ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/টিটি/পিএস