শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ০৯:৩০:৪২

‘কোনো ছাড় নয়, পাকিস্তানের তালবাহানার জবাব দেবে বিসিবি’

‘কোনো ছাড় নয়, পাকিস্তানের তালবাহানার জবাব দেবে বিসিবি’

স্পোর্টস ডেস্ক: খসড়া সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের  মাটিতে পা রাখার সম্ভাব্য তারিখ ছিল ৯ই জুলাই। কিন্তু হঠাৎ করেই বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি শাহরিয়ার খান জানিয়ে দিলেন তারা বাংলাদেশে আসবেন না। তার সঙ্গে এ-ও যোগ করলেন এটি দুই দেশের সমঝোতায় সিদ্ধান্ত! এখানেই শুরু হয়েছে সমস্যাটা! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বলছে বিষয়টা তারা জানেই না।

এমনকি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বা লিখিতভাবে কিছু জানানোও হয়নি। বর্তমানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন আইসিসির সভায় অংশ নিতে রয়েছেন দুবাইয়ে। তারা ফিরলেই জানা যাবে সত্যি ঘটনা। তবে তার আগে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা সত্যিই বিস্মিত। আমরা এক মাস আগেও জানতাম তারা (পাকিস্তান) এখানে সফর করবে। ২০১৫ সালের পর আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল যে পরের দুটি সিরিজ তারা আমাদের এখানে খেলবে। তখন একটা আর্থিক ইস্যু ছিল। বিষয়টি তখন নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। তারা বলেছিল, ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকাতেই খেলবে।’

বাংলাদেশ সফর স্থগিত করার কথা গণমাধ্যমে বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বিসিবিকে কিছু জানায়নি পিসিবি। বিসিবির দাবি, আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী এটি বাংলাদেশেরই সিরিজ। গতবার ছাড় দেয়া হলেও এবার পাকিস্তানকে কোনো রকম ছাড় দেবে না বিসিবি। এর জবাব দেয়া হবে। জালাল ইউনুস বলেন, ‘এখানে কিন্তু টাকা-পয়সার ব্যাপার না। টাকা-পয়সার বিষয়গুলো গতবারই ক্লিয়ার করে দেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে দ্বিতীয়বার কিছু বলার সুযোগ নেই।’

অন্যদিকে দুবাইতে আইসিসির সভা চলাকালে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বাংলাদেশ সফর নিয়ে কথা বলেছেন পিসিবি প্রধান। তাদের আলোচনার কথা স্বীকার করে জালাল ইউনুস বলেন, ‘দুবাইয়ে আইসিসির সভায় পাকিস্তানের সভাপতি ও আমাদের সভাপতির কোনো মধ্যে একটা সময়ে সফর নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। তারা চাচ্ছে, বাংলাদেশ দল কমপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি পাকিস্তানে গিয়ে খেলুক। বাকিটা এখানে কন্টিনিউ করবে।

কিন্তু আমরা ওখানে গিয়ে খেলতে চাচ্ছি না। এফটিপি অনুযায়ী এটা বাংলাদেশের সিরিজ। ওদের সফর আমাদের প্রাপ্য। সম্পূর্ণ সিরিজটা এখানেই খেলতে চাই।’ এফটিপি অনুযায়ী বাংলাদেশের সিরিজ হলে পাকিস্তান সফরে না এলে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে বিসিবির। জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু পাইনি। এটা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমরা এখনো অফিসিয়ালি কনফার্মড না। জানালে তখন ভাববো কী করা যায়। এখন পর্যন্ত জানি, তারা এখানেই আসবে। আমরা আমদের সূচিতেই থাকব। আমাদের প্রস্তাবিত সূচি তাদের কাছে দিয়ে দিব।’

সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে গেছে পাকিস্তান। সেবারের সফর টেকনিক্যালি নিজেদের ‘হোম’ সিরিজ দাবি করে শেষ পর্যন্ত বিসিবির কাছ থেকে ৩ লাখ ২৫ হাজার ডলার নিয়েছিল পিসিবি। সেটি পাকিস্তানের হোম সিরিজ হলে এবার সিরিজ বাংলাদেশেরই হওয়ার কথা। তবে এবার বিষয়টা টাকা পয়সার সঙ্গে যুক্ত নয় বলে পরিস্কার। পাকিস্তান চাইছে যেকোনোভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তাদের দেশে ফেরাতে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর জঙ্গি হামলার পর বড় কোনো দেশই পাকিস্তানে খেলতে যায়নি। একবার কোনোভাবে বাংলাদেশ দলকে নিতে পারলে তারা নিজ দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর বিষয়ে জোর পাবে। তাই সফরে আসা না আসা নিয়ে তালবাহানা করছে বলে দাবী বিসিবি কর্তাদের।
২৮ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে