স্পোর্টস ডেস্ক: আশার আলো জোগাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দশম আইপিএলের শুরুর দিকে স্লগ ওভার বোলিং কার্যত কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে, সেটাই এখন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের সম্পদ। রান তাড়া করে গম্ভীর-উথাপ্পার দুরন্ত পার্টনারশিপ এবং দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে সাত উইকেটে উড়িয়ে দেয়ার রাতেও নাইট শিবিরের সবচেয়ে জোরাল রিংটোন হয়ে দাঁড়াল ডেথ ওভারে বোলারদের সাফল্য।
এর ফলে রান তাড়া করে টানা ১২ জয়ের দুর্দান্ত রেকর্ড করল কেকেআর। শেষ রান তাড়া করে হেরেছিল ২০১২ সালে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে।
শুক্রবার ইডেনে প্রথমে ব্যাট করে সঞ্জু স্যামসন ও শ্রেয়স আইয়ারের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে একটা সময় ১৪ ওভারে দিল্লির স্কোর ছিল ১২৩। হাতে তখনও আট উইকেট এবং মনে করা হচ্ছিল শেষ ছয় ওভারে দিল্লির বিগহিটাররা রানটাকে ১৮০-১৯০-এ পৌঁছে দেবেন।
কিন্তু কে জানত, ডেথ ওভারে ইডেনের শাসক হয়ে উঠবেন কেকেআর বোলাররা?
শেষ ছয় ওভারে দিল্লি মাত্র ৩৭ রান তুলবে এবং জহিরদের ইনিংস থমকে যাবে মাত্র ১৬০/৬ স্কোরে? যার মধ্যে নাথান কুল্টার নাইল দুই ওভারে ১৫ রান খরচ করে তুলে নিলেন তিন উইকেট। ইডেনে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন। সামান্য চোট থাকায় পুণে সুপারজায়ান্টের বিরুদ্ধে বিশ্রামে ছিলেন নাইল। শুক্রবার প্রত্যাবর্তনের মঞ্চে ফের দাপট দেখালেন অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার।
নাইলকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অন্যান্য নাইট বোলাররাও। ইদানীং বল হাতে আগের মতো কার্যকরী না দেখালেও সুনীল নারাইন স্লগে দুই ওভারে দিলেন মাত্র ১১ রান। কুলদীপ যাদব ও ক্রিস ওকস শেষ ছয় ওভারের মধ্যে এক ওভার করে হাত ঘুরিয়ে খরচ করলেন যথাক্রমে ৬ ও ৫ রান। ৩.৪ ওভার বাকি থাকতে নাইটদের হাতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর জহিরও স্বীকার করে নিলেন, যতটা আশা ছিল, ততটা বড় রান তুলতে পারেননি তারা। ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে জহির বললেন, ‘‘শুরুটা ভালো হওয়ায় আমাদের মঞ্চ তৈরি ছিল। তবে আমরা অন্তত ১৫ রান কম তুলেছিলাম।’’
নাইট অধিনায়ক গম্ভীরের মুখেও বোলারদের, বিশেষ করে স্লগ ওভারে তাদের দাপটের প্রশংসা। ‘‘ওইরকম দুরন্ত শুরুর পর দিল্লিকে ১৬০ রানে আটকে রাখাটা কম কৃতিত্বের নয়,’’ ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলছিলেন নাইট অধিনায়ক। সেই সাথে তিনি যোগ করলেন, ‘‘বোলারদের ওপর বিশ্বাস দেখাতে হবে। তবেই ওরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে।’’
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস