স্পোর্টস ডেস্ক: সাসেক্সের হয়ে প্রস্ততি ম্যাচ খেলার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু হঠাত অসুস্থ স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য গত ৩০ এপ্রিল ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন তিনি। এর মধ্যে যোগ হয় ছেলে সাহেলের জ্বর ও মেয়ে হুমায়রার চোখের সমস্যা। এবার দেশ ছেড়েছেন তিনি। দোয়া চেয়েছেন সবার।
সব মিলিয়ে দেশে ফেরার পর অনেকটা অস্বস্তি আর দৌড় ঝাপের মধ্যেই ছিলেন মাশরাফি। তবে সবকিছু একটু সামলে শনিবার সন্ধ্যায় আবারো ফিরে গেছেন মাশরাফি। শুক্রবার সাসেক্সে প্রস্ততি ম্যাচ দিয়েই টাইগারদের অনুশীলন ক্যাম্প পর্ব শেষ হয়েছে। ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে রোববারই আয়ারল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ দল।
লন্ডন হয়ে সরাসরি আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে যোগ দেবেন মাশরাফি। সাসেক্সে ক্যাম্পে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে ওসব নিয়ে ভাবার সময়ই পাননি মাশরাফি।
এ ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ক্যাম্পে থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। যে ঠান্ডা দেখে আসছি, তাতে মানিয়ে নেওয়াটা খুব জরুরি। তবে পরিস্থিতি যা ছিল এখানে, তাতে ওসব ভাবারও সুযোগ নেই। যা হয়েছে, ভালোই হয়েছে। আসতে পেরেছি, পরিবারকে সময় দিতে পেরেছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
টাইগার দলপতি বলেন, এমনও হতে পারত যে আরও পরে যেতে হচ্ছে। এমনকি নাও যেতে পারতাম। সবকিছুই এখন নিয়ন্ত্রণে। যদিও ধাক্কাটা পুরোপুরি সামলাইনি, বায়োপসি রিপোর্টটা পাইনি এখনও। তার পরও আশা করছি, সব ঠিক হয়ে যাবে।
১২মে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু। তার আগে ১০ মে বেলফাস্টে প্রস্তুতি ম্যাচ। এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফিরে যেতে পারছেন, এতেই নিজেকে ভাগ্যবান মানছেন মাশরাফি।
'খারাপের মধ্যেও ভালো যে মূল খেলা শুরুর বেশ আগেই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে'। খেলা শুরুর পরও এরকম হলে আমি ফিরতাম, ফিরতে হতোই। এটাই স্বাভাবিক। স্ত্রী অসুস্থ, আমার বাচ্চা দুটো চার-পাঁচদিন মায়ের থেকে আলাদা ছিল। এসময় দরকার ছিল আমাকে।
ছেলেটার জ্বর ছিল। মেয়েটার চোখে অনেক সমস্যা। পরিস্থিতি অনেক কঠিন ছিল। হয়ত ৬-৭ দিনের ব্যাপার, কিন্তু কঠিন ছিল। মন্দের ভালো যে খেলা শুরুর আগেই হয়েছে। এখন ফিরতেও পারছি।
মাশরাফি এও বলেন, জীবনে কঠিন সময় তো কম আসেনি। প্রথম সন্তান জন্মের সময় দীর্ঘদিন আইসিইউতে ছিলেন স্ত্রী। যমে-মানুষে টানাটানি শেষে বেঁচে ফিরেছিলেন। ২০১৫ বিশ্বকাপ চলার সময় ভীষণ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিল ছেলে। নিজের তো ক্যারিয়ার জুড়েই শরীরের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধ।
৭ মে ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর