টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বয়কট করতে চায় পাকিস্তান!
স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বয়কট করতে পারে পাকিস্তান! পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানের মন্তব্যে সে গুজবে লাগল জোর হাওয়া। যদিও এ নিয়ে এখনো পাকিস্তান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কাছে চিঠি লিখে বিস্তারিত জানিয়েছেন শাহরিয়ার।
যদি সত্যিই বিশ্বকাপ বয়কট করে, তাতে পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় ক্ষতিটা অনেক বড়। তবুও নিরাপত্তার বিষয়টি বড় হয়ে উঠলে পাকিস্তানের হাতে বিকল্প কোনো উপায় থাকবে না। পিসিবি প্রধান বললেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, সরকারের কাছে যাব। পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলব। মনে হচ্ছে সরকার বলতে পারে, ‘‘ভারতে আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলতে যেও না’’। পাকিস্তানিদের জন্য ভারতের বিদ্যমান অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে সেটা বলাই স্বাভাবিক। সেখানকার পরিস্থিতি আপনারা দেখেছেন। এ অবস্থায় কী বলতে পারি? সেখানে আমরা নিরাপদ নই।
কেবল পাকিস্তানের জন্য এ টুর্নামেন্ট স্থগিত বা বিকল্প ভেন্যু ঠিক করবে আইসিসি, ভাবার অবকাশ সামান্যই। এর পরও পাকিস্তানের হাতে বিকল্প উপায় নেই, শাহরিয়ার মন্তব্যে ফুটে উঠেছে সেটাই, ‘হয়তো আইসিসি তখন বলবে, ‘আপনারাই ম্যাচগুলো বাতিল করেছেন’। তাতে কিছু করার নেই। আমরা ম্যাচ বাতিল করব। তবে এ সিদ্ধান্ত তখনই নেওয়া হবে, যখন সব দুয়ার (সকল দ্বিপক্ষীয় সিরিজ) একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানের সিরিজের সম্ভাবনা শেষের পথে। এখানে দুটো বিষয় আছে। প্রথমত সবগুলো দুয়ার (দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু হওয়া) বন্ধ হতে হবে। সেটা হলে এক সপ্তাহ কিংবা এ সময়ের মধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ভারত অবশ্য এ নিয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি বা বলেনি। তারা দেরি করছে। দেখা যাক এ সিরিজ হয় কি না, তারপর আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।
সম্প্রতি দুই দলের সিরিজ আয়োজন নিয়ে যা হয়ে গেল, তাতে ফের এ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে কি না অনিশ্চিত। এত কিছুর পরও আশা হারাচ্ছেন না পিসিবি সভাপতি, ‘আমরা তো সেখানে ভিক্ষা করতে যাইনি। দুবাইয়ে আইসিসি বৈঠক থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছিল। সেখানে বিসিসিআই সভাপতি আমাদের মুম্বাইয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কারণ তারা দুই দলের লড়াই আবারও শুরু করতে আগ্রহী। ক্রিকেট সিরিজ খেলতে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষরও হয়েছিল। আমরাও চাই এটা বাস্তবে রূপ নিক। এটা আয়োজনে সময় প্রয়োজন। এ কারণে আমরা কথা বলতে চাই। সূত্র: ক্রিকইনফো
২৫ অক্টোবর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস
�