রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:৫৮:২১

ক্রিকেটবিশ্ব-আইসিসিকে চমকে দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করল সেই আফগানিস্তান

ক্রিকেটবিশ্ব-আইসিসিকে চমকে দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করল সেই আফগানিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক : জয়রথ বইছে সদ্য ক্রিকেটে আগত আফগানিস্তানের। গতকাল খবরের শিরোনাম ছিল ক্রিকেট বিশ্বের টনক নড়িয়ে দিতে যাচ্ছে ২০১৫ বিশ্বকাপে ছন্দ দেখানো আফগানিস্তান। আর হ্যাঁ, এবার ক্রিকেটবিশ্ব ও আইসিসিকে চমকে দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছে সেই আফগানিস্তান। আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশকে প্রথমবারের মত উড়িয়ে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে তারা। বিশাল ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে আফগানিস্তান যেমন চমকে দিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বকে তেমনি নতুন ভাবনায় ফেলেছে আইসিসিকে। আইসিসি পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশ বৃদ্ধি করলেই তার আগ্রভাগে থাকবে আফগানিস্তান। শেষ দিনটার লড়াইটা ছিল দৃষ্টি কাড়া। টস জিতে ব্যাটিং নেয় আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়ের আক্রমণাত্মক বোলিং আক্রমনের সাথে পাল্লা দিয়ে দারুণভাবে অগ্রসর হয় আফগানিস্তান। আফগানদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার মত শক্তিশালী দেশ ব্যাটিংয়ে নেমেছে। আফগান ওপেনার নূর আলী জাদরান করেন ৫৪ রান। অপর প্রান্তের ওপেনার শেহজাদ আগাচ্ছিলেন টর্নেডো গতিতে। এভাবে চলতে গিয়ে ২৬ রান করে ক্যাস আউট হন তিনি। এরপরে জাদরানের সাথে শুরু হয় মোহাম্মদ নবীর তাণ্ডব। নবী ৫৩ রান করে বিদায় নেন। আফগানদের দলীয় সেনাপতি স্টেনেকজাই করেন ৩৮ রান। মাসাকাৎজা ও সিকান্দার রাজার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টায় শেষের দিকে কিছুটা বেগ পেতে হয় আফগানিস্তানকে। তারা দুই জনেই ৩ টি করে উইকেট শিকার করেন। পরে ২৪৫ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। ২০১৫ বিশ্বকাপে চমক দেখানো শাপূর জাদরান ছিলেন না আফগান একাদশে। এ দিন জিম্বাবুয়ের উপর জোড়া আক্রমণে নামেন দৌলত জাদরান ও আমির হামজা। দৌলত ৪টি ও হামজা ৩ টি উইকেট নিয়ে ভেঙ্গে দেন জিম্বাবুয়ের মেরুদণ্ড। পরে বাকি কাজটা সারেন রশিদ ও আশরাফ। নিজেদের ব্যাটিং সেসনে ১৭২ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের সব চেষ্টা। ফলে ইতিহাসের সাক্ষাৎ পায় আফগানিস্তান। ৭৩ রানের ব্যবধানে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় পেয়ে বাজিমাত আফগানদের। আইসিসির কোনো পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে এর মাধ্যমে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাল দেশটির গর্বিত একাদশ। নজির স্থাপন করায় গোটা আফগানিস্তানে এখন এখন বিজয়ের উল্লাস। ২৫ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে