খেলার মাঠে সেদিন কি হয়েছিল দুই অধিনায়কের মধ্যে?
স্পোর্টস ডেস্ক : গাম্ভীর বিতর্কে ম্যাচের পর মুখ খুললেন মনোজ তিওয়ারি৷ ফিরোজ শাহ কোটলায় বাংলা-দিল্লি রঞ্জি ম্যাচে ঝামেলায় জড়িয়ে নির্বাসনের মুখে দুই অধিনায়ক৷ সেদিন কি হয়েছিল দুই অধিনায়কের মধ্যে, দোষটা কার? এই বিষয়টি পরিস্কার করেছে কলকাতার মিডিয়া।
বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে মাঠ থেকে বের হওয়ার পর দেখে নেওয়ার হুমকি দেন দিল্লির অধিনায়ক গৌতম গাম্ভীর৷ পালটা দেন মনোজও৷ ম্যাচ শেষে মনোজ মিডিয়ার মুখোমুখি হলেও গম্ভীর সাংবাদিকদের এড়িয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান৷
মনোজ বলেন, ‘আমি কিছু বলিনি৷ ভিডিওতে সব রয়েছে৷ গাম্ভীর সিনিয়র ক্রিকেটার৷ আমি ওকে সম্মান করি৷’ গাম্ভীরকে যে তাঁকে উতক্ত করেছিলেন তা জানাতে ভোলেনি মনোজ৷
ঘটনার সুত্রপাত মনোজের ক্রিজে আসার সময়ে৷ পার্থসারথি ভট্টাচার্য আউট হওয়ার পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মনোজ৷ টুপি মাথায় দিয়ে ক্রিজে আসেন বাংলা অধিনায়ক৷ কিন্তু গার্ড নেওয়ার পরই মনোজ বোলিং রান-আপে তাকিয়ে দেখেন পেসার মনন শর্মা বল করছেন৷
তাই ব্যাটিং শুরু না-করে ড্রেসিংরুম থেকে হেলমেট আনতে বলেন মনোজ৷ এতেই রেগে যান দিল্লি অধিনায়ক৷ মনোজ ইচ্ছে করে সময় নষ্ট করছে এই অভিযোগে প্রথম স্লিপ থেকে তাঁর দিকে তেড়ে যান গাম্ভীর৷ দিল্লি অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচের পর তোকে দেখে নেবো৷’
চুপ থাকেননি মনোজও৷ তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যাবেলা কেন? এখনই মাঠের বাইরে যাচ্ছি চল৷’ দু’জনের মতো এতটাই উতপ্ত বাক্য বিনিময় হয় যে, থামাতে আম্পায়াররা হস্তক্ষেপ করেন৷ প্লেয়ারদের ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’ লঙ্ঘন করেন গাম্ভীর৷
আম্পায়ার শ্রীনাথকে ঠেলে দিয়ে ফের মনোজের দিকে তেড়ে যান তিনি৷ ঘটনাটি মাঠে বসেই দেখেন ম্যাচ-রেফারি বাল্মিকি বাচ৷ ম্যাচের পর তিনি দু’জনকেই ডেকে পাঠান৷ কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করায় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন গাম্ভীর ও মনোজ দু’জনেই৷-কলকাতা
২৫ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর