সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:০৭:৫২

লজ্জাজনক হারের পর যা বললেন ধোনি

লজ্জাজনক হারের পর যা বললেন ধোনি

স্পোর্টস ডেস্ক : সাংবাদিক সম্মেলন তখনও শুরু হয়নি। চেয়ারে বসতে বসতেই বলে বসলেন, আজ আর কী প্রশ্ন করবেন? তার পরই হাসি। দেখে বোঝার উপায় ছিল না, এই লোকটাই আধঘণ্টা আগে সিরিজ হেরে ফিরেছেন। তীক্ষ্ণ প্রশ্ন ভেসে আসবে, এটাই প্রত্যাশা করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। এলও তাই। এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করে বসলেন, আজ কোথায় ভুল হয়েছিল? আবার মুখে হাসি। উত্তর দিয়ে গেলেন, ‘ভুল? আজ ঠিকটা হল কোথায়? সবই তো ভুলে ভরা। কোথায় ভুল, সেই প্রশ্ন করাটাই তো ভুল। বোলিং থেকে শুরু করে ফিল্ডিং, কোথাও আজ ঠিকঠাক হয়নি। অসংখ্য ক্যাচ মিস, ফিল্ডিংয়ে গলতি। ৫০ ওভারে ৪৩৮ রান তাড়া করা যায় না। ৩৫০ রান হলে তাড়া করতে পারতাম। কিন্তু ৪৩৮ রান তাড়া করাটা অসম্ভব। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। অনেক প্রেশার ছিল। বড় রান করার ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাজকোটে একবার শ্রীলঙ্কার ৪১৩ রান তাড়া করে খুব অল্প রানের ব্যবধানে হেরেছিলাম। কিন্তু ওই পরিস্থিতি, পরিবেশ আলাদা ছিল। এখানকার পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা।’ শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে রান তুলছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। বোলিং পরিবর্তন করেও রানের স্রোত আটকানো সম্ভব হয়নি। ধোনি দাবি করে গেলেন, ২৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নাকি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ওয়াংখেড়ের ফ্ল্যাট উইকেটের কথা বলেও বোলারদের সমালোচনা করতে ছাড়লেন না মিঃ ক্যাপ্টেন কুল, ‘শুরু থেকেই বোলাররা শর্ট বল দিয়ে গেল। ওদের শর্ট খেলার সুযোগ দিয়ে গেল। স্পিনার থেকে জোরে বোলার, কোনও বিভাগই কাজ করেনি। সব বোলারই রান দিয়ে গেছে। তাছাড়া ওদের পার্টনারশিপের কথাও বলতে হবে। এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়ে গেল।’ এই ধরনের পারফরমেন্সকে যে–কোনও অধিনায়কই দ্রুত ভুলতে চাইবেন। ধোনিও ব্যতিক্রম নন। বলে গেলেন, ‘খারাপ পারফরমেন্সকে আমি কখনও মনে রাখি না। এই পারফরমেন্স এতটাই খারাপ, যা পারফরমেন্স হিসেবে গণ‍্য করছি না।’ সামনেই টেস্ট সিরিজ। তিনি থাকবেন না। বিরাট কোহলিদের কাছে ফিরে আসার জন্য দারুণ চাপ থাকবে। পরপর দুটো সিরিজ হার মানসিকভাবে হয়ত পিছিয়ে দেবে কোহলিদের। ধোনি কিন্তু তা মনে করছেন না। প্ রসঙ্গ উঠতেই বলে গেলেন, ‘আমার মনে হয় না একদিনের সিরিজের পরাজয় টেস্ট সিরিজে কোনও প্রভাব ফেলবে।’ নিজের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই বলে গেলেন, ‘ব্যক্তিগত পারফরমেন্স নিয়ে কোনও দিন ভাবি না। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমার ফিল্ডিং খুব বাজে হয়েছে।’ বলেই সেই স্বভাবসিদ্ধ হাসি। ধোনির মুখে বারবার অলরাউন্ডারের অভাবের কথা। বলছিলেন, ‘আমার হাতে এই মুহূর্তে সেরা সিমিং অলরাউন্ডার বলতে স্টুয়ার্ট বিনি, স্পিনার অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেল।’ সিরিজ হেরেও ধোনির মুখে যতটা হাসি, জিতে এ বি ডি’ভিলিয়ার্সের মুখে ততটা নেই। আসলে তিনি এরকমই। আবেগের সঙ্গে কখনও গা ভাসিয়ে দেন না। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলে গেলেন, ‘আমার নেতৃত্বে এটা স্মরণীয় জয়। এইরকম বড় ম্যাচ কখনও জিতিনি। টোয়েন্টি ২০ জিতেছি, একদিনের সিরিজ জিতলাম, এবার লক্ষ্য টেস্ট। টেস্ট জেতাটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। টেস্ট সিরিজ জিতে এবার ইতিহাস তৈরি করতে চাই।’ ওয়াংখেড়ের উইকেট দেখে অবাক। এতটা ফ্ল্যাট হবে ভাবেননি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। তাই স্টেডিয়ামে আলো নেভার আগের মুহূর্তে সতীর্থদের নিয়ে উইকেটের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কুর্নিশ করে গেলেন এ বি ডি’ভিলিয়ার্স। ২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে