দুই দিনে ছয় সেঞ্চুরি, সর্বমোট ৫০০টি
স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের সবচেয়ে বড় আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগ জমে উঠেছে। ক্রিকেটাররা মাঠে নামলেই যেন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসে থাকছেন। এবারের জাতীয় লিগে এরই মধ্যে গত দুই দিনে দেখা মিলেছে ছয়টি সেঞ্চুরির। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির আসর হিসেবে ৫০০ সেঞ্চুরির দৃশ্যটিও দেখে ফেলেছে জাতীয় লিগ।
পরশু প্রথম দিনে বগুড়ায় ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার তারিক আহমেদ। কাল সেঞ্চুরিয়ানদের মিছিলে যোগ হলেন নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষ। তাঁদের এই তিন সেঞ্চুরির সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৪৬৩ রান করেছে রংপুর। ভিতটা অবশ্য ম্যাচের প্রথম দিনেই গড়ে দিয়েছিল তারিক-নাঈমের তৃতীয় উইকেট জুটি। ২ রানে মোহাম্মদ শরীফের পরপর দুই বলে ২ উইকেট পড়ার পর দুজন যোগ করেছেন ১৬১। চা-বিরতির আগে রংপুরকে অলআউট করে কাল এক সেশনেই ২ উইকেট হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। দিন শেষে রান ৭৮।
অন্য তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে ফতুল্লায় ঢাকা মহানগর-খুলনা ম্যাচে। ৮৮ রানে ২ উইকেট পড়ার পর দুই সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার শামসুর রহমান (১৪৪) ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর (১৩২) তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১২৪। ঢাকা মহানগরের ৩৯৯ রানের ভিত ওটাই। ৫ উইকেটে ৩৪০ রান করে প্রথম দিন পার করার পর কাল মাত্র ৪৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা। দিনের তৃতীয় ওভারেই রবিউল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড আগের দিন ১২৯ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ। বিপর্যয়ের শুরু সেখান থেকেই। ৩ উইকেট নিয়ে তাতে বড় ভূমিকা মেহেদী হাসান মিরাজের। আগের দিনের দুটিসহ ৯৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তরুণ অফ স্পিনার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর পঞ্চমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট।
লাঞ্চের আগেই ঢাকা মহানগরকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নেমে কাল দিন শেষে ৪ উইকেটে ২০৪ রান করেছে খুলনা। এর মধ্যে ইমরুল কায়েসের একারই ১১০, দিন শেষে অপরাজিতও আছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
রাজশাহীতে প্রথম দিনের চিত্রটা ছিল পুরোই ব্যতিক্রম। বরিশালের দুই পেসার তৌহিদুল ও সালমানের তোপে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী। তৌহিদুল-সালমান দুজনই নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট করে। গত পরশু ২ উইকেটে ১৫৩ রানে দিন শেষ করেছিল বরিশাল। কাল ৫৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৩১১ রানে। রাজশাহী দিন শেষ করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১২৬ রান তুলে।
চট্টগ্রামে চট্টগ্রামকে ২৭০ রানে অলআউট করে দিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেটও প্রায় অলআউট, ২৬২ রান তুলতে পড়ে গেছে ৯ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা মহানগর-খুলনা, ফতুল্লা
ঢাকা মহানগর ১ম ইনিংস: ১১৫.১ ওভারে ৩৯৯ (শামসুর ১৪৪, মাহমুদউল্লাহ ১৩২, শরীফউল্লাহ ৩৯; মিরাজ ৫/৯৬, রাজ্জাক ৩/১১৩)। খুলনা ১ম ইনিংস: ৬৬ ওভারে ২০৪/৪ (ইমরুল ১১০*, মিরাজ ২৮; শরীফউল্লাহ ১/৩২, আবু হায়দার ১/৩৪)।
রাজশাহী-বরিশাল, রাজশাহী
রাজশাহী: ৪২.৫ ওভারে ১১৯ (সানজামুল ৪০, নিহাদুজ্জামান ৩৪*; তৌহিদুল ৫/৩০, সালমান ৫/৩১) ও ৪২ ওভারে ১২৬/৩ (জুনায়েদ ৫৮*; ২/৪০)। বরিশাল ১ম ইনিংস: ৮৬.২ ওভারে ৩১১ (শাহরিয়ার ৮০, আল-আমিন ৭১, ফজলে মাহমুদ ৫১, সালমান ৪৫; সানজামুল ৪/৮৭, শাফাক ৪/৯৫, নিহাদুজ্জামান ২/২৬)।
ঢাকা-রংপুর, বগুড়া
রংপুর ১ম ইনিংস: ১৫২ ওভারে ৪৬৩ (তারিক ১০২, ধীমান ১০১*, নাঈম ১০০; দেওয়ান সাব্বির ৪/৯৬, নাজমুল ৩/১২১, শরীফ ২/৮০)। ঢাকা ১ম ইনিংস: ২৮ ওভারে ৭৮/২ (সাইফ ৪৪, মোশাররফ ২৬*; শুভািশস ১/২৪, সাজিদ ১/৩১)।
চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৮৭.২ ওভারে ২৭০ (তাসামুল ৭৪, ইয়াসির ৫৫, ডলার ৩৯, মুমিনুল ৩৬; হাসান ৪/৩৪, এনামুল জুনিয়র ৩/৭৫)। সিলেট ১ম ইনিংস: ৮৯ ওভারে ২৬২/৯ (অলক ৪৬, জাকির ৩০; নাবিল ৩/৭৪, ইফতেখার ২/৪৩, সাইফুদ্দিন ২/৫৫)।
২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ