আর এক ধাপ, তাহলেই ভেঙে যাবে মোহাম্মদ আশরাফুলের সেই রেকর্ড!
স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কিংবদন্তী ক্রিকেটারের নাম মোহাম্মদ আশরাফুল। যিনি তার অভিষেক টেস্টে বিশ্বের কনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে করেছেন সেঞ্চুরি। যে রেকর্ডটি আজও কেউ ভাঙ্গতে পারেনি। তাছাড়া ২০০৫ সালে নেটওয়েস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫২ বলে ৯৪ কিংবা ওই একই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনবদ্য শতরান, সব মিলিয়ে আশরাফুল বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনে উজ্জল এক নক্ষত্র।
মোহাম্মদ আশরাফুলের অনেক রেকর্ডের মধ্যে টি-২০তে ২১ বলে ৫০ রানের সেই মারকুটে ইনিংসটিও একটি। আশরাফুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই রেকর্ড করার পাশাপাশি তার ঘরোয়া ক্রিকেটেও রয়েছে অনবদ্য বিশেষ এক রেকর্ড। আশরাফুল জাতীয় ক্রিকেট লিগে এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেছেন ১৮টি। অবশ্য তার সতির্থ ক্রিকেটার তুষার ইমরানের সেঞ্চুরির সংখ্যাও ১৮। ঘরোয়া ক্রিকেটে আশরাফুল-তুষারের যৌথভাবে গড়া এই সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এবার ভেঙ্গে দিতে যাচ্ছেন ছক্কা নাঈম।
রংপুরের হয়ে জাতীয় লিগ খেলা নাঈম ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ১০০ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটা তার ১৭তম সেঞ্চুরি। যা নাঈমকে পৌঁছে দিয়েছে আশরাফুল ও তুষার ইমরানের করা রেকর্ডের আরো কাছে। বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটসম্যানই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮টি করে সেঞ্চুরি করেছেন।
তবে ম্যাচের খেলার হিসাবে জাতীয় দলের সাবেক এই দুই ব্যাটসম্যানের চেয়ে এগিয়ে আছেন নাঈম। আশরাফুল ও তুষার ইমরানের চেয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি। ১৩৩ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৮টি সেঞ্চুরি ও ২৮টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন আশরাফুল। তুষার ইমরান খেলেছেন ১২৬টি ম্যাচ। তুষারের রয়েছে ১৮ সেঞ্চুরি ও ৪২টি হাফ সেঞ্চুরি।
সেখানে নাঈম খেলেছেন ৯৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। এতে ১৭ সেঞ্চুরি ও ২৭টি হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেছে তার। সেঞ্চুরিতে পিছিয়ে থাকলেও রান গড়ে আশরাফুল ও তুষার ইমরানের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে নাঈম। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে নাঈমের দলও শক্ত অবস্থানে আছে। প্রথম দিকে ওপেনার তারিক আহমেদ, মাঝে নাঈম এবং শেষের দিকে ধীমান ঘোষের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৬৩ রান তুলেছে রংপুর বিভাগ।
২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ
�