‘অতিরিক্ত ব্যবহারই মাশরাফি-তাসকিনদের ইনজুরিতে পড়ার কারণ’
স্পোর্টস ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই ইনজুরির সাথে তাসকিনের যুদ্ধ চলছেই। কিছুদিন পর পরই ইনজুরিতে পড়তে হয় বাংলাদেশি এই স্পিড মাস্টারকে। এখনও সাইড স্টেইনের ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাহিরে রয়েছেন তিনি। তবে বিসিবির ডাক্তার জানিয়েছে, খুব শিগগিরই মাঠে ফেরা হচ্ছেনা তার। মূলত পেস বোলারদের অতিরিক্ত ব্যবহার হলে এ ধরণের ঘনঘন ইনজুরির সম্ভবনা থাকে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিও ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী।
র্দীঘ দিন পর ভারত সফরে দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। কিন্তু সফরে গিয়েই ফের আগের সমস্যা মাথাছড়া দিয়ে উঠলো তার।তাই দ্রুতই দেশে ফিরে আসতে হয় তাকে। ডাক্তার জানিয়েছেন এবার তাসকিনকে মাঠে ফিরতে হলে আরো এক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
ক্রিকেটে পেসারদের ইনজুরিতে পড়া নতুন কিছুই নয়। যারা ক্রিকেট খেলছেন, তাদের মধ্যে সবাই-ই কম-বেশি ইনজুরিতে পড়েন। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, পেসার সংখ্যা এখানে এতোটা বেশি কেন? তাদের তা কাটিয়ে উঠতেই বা এতটা বেশি সময় কেনো লাগে? পুরোপুরি ফিট বললেও সেটার স্থায়িত্ব কম হয় কেনো? এসব নানাবিধ প্রশ্নের বিস্তারিত তথ্যটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিও ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী।
পেসারদের ইনজুরির বিষয়টি নিয়ে ডাক্তার দেবাশীষ জানান, ‘সাইড স্টেইন মূলত পাঁজরের ব্যথা। পেসার যে হাতে বল করেন তার বিপরীত দিকে এই সমস্যা দেখা দেয়। বল জোরে ডেলিভারী দেয়ার জন্য পাঁজরের নিচের মাংসপিন্ডগুলোতে চাপ পড়ে। একবার সাইড স্টেইনের সমস্যা হলে তা বারবার হয়। এমনকি এ থেকে পরিত্রাণের সময়টাও বেশ দীর্ঘ।’
অনেকে মনে করেন মাশরাফির পথেই হাঁটছেন তাসকিন। বাংলাদেশ দলের এই অধিনায়ককে এই পর্যন্ত ১৩ বার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। আর তাসকিনও বেশ কয়েকবার সাইড স্টেইন ইনজুরিতে পড়েছেন । গেলবার তো মাঠে ফিরতে অপেক্ষাই শেষ হচ্ছিল না তাসকিনের। ধাক্কা কাটিয়ে যতটুকু বা উঠে দাঁড়ালেন, তাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না।
তাসকিনকে নিয়ে ডাক্তার দেবাশীষ জানান, ‘ তাসকিন ছোট বেলা থেকে ফাস্ট বোলিংয়ের কারণে তাসকিনের মাংসপেশীগুলো কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই খুব বেশি চাপ তিনি পারেন না।
২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর