ডার্বিতে কোন দলই জিততে পারেনি
স্পোর্টস ডেস্ক: প্রিমিয়ার লীগের ১৭০তম ম্যানচেস্টার ডার্বিতে কোন দলই জিততে পারেনি। তবে আর্সেনালকে গোল ব্যবধানে টপকে প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে ফিরে আসার জন্য এক পয়েন্টই যথেষ্ট ছিল সিটিজেনদের। এই দুই দলের থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ওয়েস্ট হ্যামের সাথে সমান ২০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড। কিন্তু দূর্দান্ত ফর্মে থাকা আর্সেন ওয়েঙ্গারের আর্সেনালকে শিরোপা দৌড় থেকে পিছিয়ে দিতে কালকের ম্যাচের পারফরমেন্স মোটেই সন্তোষজনক ছিল না। যদিও ইনজুরির কারনে দুই সিটি তারকা সার্জিও আগুয়েরো ও ডেভিড সিলভার অনুপস্থিতি ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে, এমন দাবী করতেই পারে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির শিষ্যরা। এই দুইয়ের কল্যাণে দুটি লীগ ম্যাচে ১১ গোল করে সিটি গোলবন্যা বইয়ে দিয়েছিল।
তবে লুইস ফন গালের ইউনাইটেডের কাছে এমন কোন শক্ত কারন নেই। যদিও ম্যাচে তারা বেশ কয়েকবার গোলের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিল। বদলী এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জেসে লিনগার্ডের পাস থেকে এ্যান্থনি মার্শালের ভলি বারে না লাগলে ম্যাচের ভাগ্য হয়ত ইউনাইচেডের জন্য সহায় হতেও পারতো।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শেষ দুটি সফরে সিটির শুরুটা দারুনভাবে হয়েছিল। ২০১৩-১৪ শিরোপা জয়ী মৌসুমে ৩-০ গোলের জয়ের পরে গত এপ্রিলে ৪-২ গোলে পরাজয় ম্যাচটিতেও সিটি এগিয়ে ছিল। কিন্তু গতকালকের ম্যাচটিতে কিছুটা হলেও ফন গালের দলকেই এগিয়ে রাখতে হবে। রাইট ব্যাকে মাতেও ডারমেইর জায়গায় এন্টোনিও ভ্যালেন্সিয়ার ওপর আস্থা রেখেছিলেন ইউনাইটেড বস ফন গাল। আর আক্রমনভাগে আবারো কোচের আস্থার জায়গা ধরে রেখেছিলেন তরুন মার্শাল। যতবারই তিনি বল পেয়েছেন সিটিজেনদের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছেন। আর তাকে আটকাতে গিয়ে ফার্নান্দিনহো ও সিটি অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানীকে হলুদ কার্ড পেতে হয়েছে। অন্যদিকে সিটির হয়ে রাহিম স্টার্লিং ও ইয়াইয়া তোরে কয়েকবার আক্রমন করলেও তা রুখতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি ইউনাইটেডকে।
নিজের ৩০তম জন্মদিনের একদিন পরে কাল মাঠে নেমেছিলেন ওয়েইন রুনি। কিন্তু দলের হয়ে খুব একটা অবদান রাখতে পারেননি এই তারকা স্ট্রাইকার। কোম্পানীর সাথে মাথায় আঘাত লেগে কিছুক্ষনের জন্য মাঠ ছাড়তেও বাধ্য হয়েছিলেন। কাফ ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় ছয় সপ্তাহ পরে সিটির হয়ে মূল একাদশে ফিরেছিলেন কোম্পানী। গোলপোস্টে একটি আক্রমনও না করার ব্যর্থতা নিয়েই বিরতিতে যায় স্বাগতিক ইউনাইটেড। কিন্তু বিরতির পরে দ্রুতই তারা ম্যাচে ফিরে আসে। এ্যান্ডার হেরেরার শট ডিফ্লেকটেড হয়ে ফিরে আসে। স্টার্লিংয়েল সাথে ধাক্কা লেগে ডি বক্সের মধ্যে হেরেরা পড়ে গেলে ইউনাইটেডের একটি জোড়ালো পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারী। কিছুক্ষন পরেই মার্কোস রোহোর বাড়ানো বলে হুয়ানা মাতার প্রচেষ্টা লাইনের ওপর থেকে রক্ষা করেন সিটি গোলরক্ষক জো হার্ট। ৫৫ মিনিটে গত সপ্তাহে বোর্নমাউথের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা স্টার্লিংয়ের স্থানে পেলেগ্রিন মাঠে নামান জেসাস নাভাসকে। অন্যদিকে মাতা ও বাস্টিয়ান শুয়েইন্সটেগারের স্থানে ইউনাইটেডের হয়ে বদলী হিসেবে মাঠে নামেন লিনগার্ড ও মারোনে ফেলাইনি। তবে মধ্যমাঠে তোরের স্থানে সেন্টার ব্যাক মার্টিন ডেমিচেলিসকে নামিয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিলেন পেলেগ্রিনি। তবে বদলী খেলোয়াড়রাও কোন দলের পক্ষেই ডেডলক ভাঙ্গতে পারেননি।
২৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ