স্পোর্টস ডেস্ক: আজকের ফাইনালে তাই ভারত একচেটিয়া ফেভারিট। সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্রিকেট পণ্ডিত, বিশ্লেষক ও সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের বড় অংশ ভারতের পক্ষে। আর তা হাবারই কথা। দুই দলের একাদশের তুলনা করলে ভারতের শক্তির অনুপাত যদি ১০ হয় পাকিস্তানের অনুপাত ৫।
ভারতের চিরায়িত স্পিন বোলিং। বলার অপেক্ষা রাখে না এই মুহূর্তে ডানহাতি অপ স্পিনার অশ্বিন ও বাঁহাতি জাদেজা নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে বিশ্বসেরা। যারা খাপিয়ে দিতে পারে যেকোন শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে।
ভারতের উদ্বোধনী জুটির মত অমন পরীক্ষিত অভিজ্ঞ ও পরিণত একজন ওপেনার নেই পাকিস্তানে। আজাহার আলী (৪৯ ম্যাচে ১৭৭৪ রান, সেঞ্চুরি ৩টি) আর এই আসরে শুরু করা ফকর জামান। এরপর বারব আজম, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজ এবং সরফরাজ আহমেদ। ব্যাটিং টেকনিক ও সামর্থ্যের প্রায়গিক ক্ষমতা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এর কোনটাই ভারতীয়দের ধারের কাছে নাই। ভারতকে হারাতে হলে পাকিস্তান কে বোলিং এ অবশ্যই ভালো করতে হবে।
তবে পাকিস্তানের একটা বিভাগ আছে। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যতরকম ব্যাখ্যা দেওয়া হক না কেন, হিসাব পাল্টে দেবার বোলিং আছে পাকিস্তানের। একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুণ। ভারতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে করুণ ভাবে হারার পর পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মূলত বোলাদের হাত ধরে।
নদী শুকিয়ে গেলেও নাকি দাগ থেকে যায়। জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ আমির ও হাসান আলীরা সেই কথাই যে মনে করিয়ে দিচ্ছে। শতভাগ ব্যাটিং উপযোগী পরিবেশেও কি অসাধারণ ফাস্ট বোলিংয়ের অনুপম নিদর্শন রেখেছন এই তিন তরুণ। মূলত তাদের বোলিংয়ের উপর পুঁজি করেই প্রতিপক্ষকে আঘাত হানছে পাকিস্তানিরা। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা (২১৯), শ্রীলঙ্কা (২৩৬) ও ইংল্যান্ডকে (২১১) রানে অল আউট করে। এই ধারালো বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারত ছাড়া কোন দল আড়াইশ করতে পারেনি।
এখন ফাইনালে যদি ভারতের ব্যাটিং দুর্গে এই তিন তরুণ আঘাত হানতে পারেন, কোহলির দলকে যদি ২৫০`র কমে বেধে রাখতে পারেন তবে পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা থাকবে। কারণ অনভিজ্ঞ ও অপরিণত বেশি বলে খুব বড় স্কোর তাড়া করায় সামর্থ্য কম এই দলটির। তবে ২৩০/২৪০ অনায়াসে করে ফেলার সামর্থ্য আছে।
ভারতীয় একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিং, এমএস ধোনি, কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরাহ।
পাকিস্তান একাদশ: আজহার আলি, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, শাদাব খান, হাসান আলি ও জুনায়েদ খান।
এমটিনিউজ২৪/এম,জে