স্পোর্টস ডেস্ক: নিজের আত্মজীবনী লেখতে গিয়ে অনেকে একটু আধটুকু বাড়িয়ে লিখবেন এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর বির্তক হবে না তা কি হয়? লিভারপুলের সাবেক খেলোয়াড় স্টিভেন জেরার্ডের ক্ষেত্রেও এর কিছুটা ব্যতিক্রম হয়নি। লিভারপুলের সাবেক এ তারকা খেলোয়াড় ক’দিন আগে প্রকাশ করেছেন তার আত্মজীবনী ‘মাই স্টোরি’। তিনি তার আত্মজীবনী বইটির ব্যপক প্রচার ও ইনকামের লক্ষ্যে অনেকখানি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
আর তাই প্রকাশিত হওয়ার পরপরই কয়েকটি বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে লেখা মিথ্যে কথা গুলো নিয়ে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে রাফায়েল বেনিতেজের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে। ৩৫ বছর বয়সী জেরার্ড তার বইতে লিখেছেন যে, ‘রাফায়েল বেনিতেজ লিভারপুলের কোচ থাকাকালে তার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না। বেনিতেজ তাকে খুব একটা পছন্দও করতেন না। তাকে বেনিতেজের অপছন্দের কারণও জানেন না জেরার্ড।’
তবে লস অ্যাঞ্জেলাস গ্যালাক্সির বর্তমান এ মিডফিল্ডারের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন বেতিনেজ। রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান এ স্পানিয়ার্ড কোচ জেরার্ডের মন্তব্যতে ভুল বলেছেন। বই বিক্রি বাড়াতেই জেরার্ড এমন মন্তব্য লিখেছেন বলে মনে করেন বেনিতেজ। লিভারপুলের কোচ থাকাকালে জেডার্ডের সঙ্গে তার সম্পর্ক দারুণ ছিল বলে বেনিতেজের দাবি।
রিয়াল মাদ্রিদের ৫৫ বছর বয়সী কোচ বলেন, ‘জেরার্ডের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, সে ভুল বলেছে। তার সঙ্গে আার সম্পর্ক ভাল ছিল। সে এখন লিভারপুলে নেই। একটি বই লিখেছে। আর আমিও এখন লিভারপুলে নেই। আমার দেশের রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব নিয়েছি। বই বিক্রি বাড়ানোর জন্যই জেরার্ড এমনটা লিখতে পারে। তবে আমার মনে হচ্ছে বিষয়টি আমার এড়িয়ে যাওয়াই উচিৎ।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন বেনিতেজ। আর ১৯৯৮ থেকে গত মওসুমের শেষ পর্যন্ত লিভারপুলে খেলেন জেরার্ড। ২০০৫ সালে লিভারপুলকে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা এনে দেন বেনিতেজ। আর পরের বছর তার দলটি জেতে এফএ কাপের শিরোপা। ওই দুই শিরোপা জিততে কোচ বেনিতেজের প্রধান অস্ত্র ছিলেন জেরার্ড। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে। সেবার ফাইনালে এসি মিলানকে দারুণ একটা গোল করে টাইব্রেকারে হারান জেরার্ড। লিভারপুলের হয়ে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৭০৮ ম্যাচে ১৮৬ গোল করেন জেরার্ড। আর বেনিতেজ লিভারপুলকে জেতান ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ (২০০৪-১৫), ইউয়েফা সুপার কাপ (২০০৫), এফএ কাপ (২০০৫-০৬) ও এফএ কমিউনিটি শিল্ডের শিরোপা (২০০৬)।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫,এমটি নিউজ২৪/আরিফুর/রাজু