ক্রিকেটে সোনার ডিম পাড়া হাঁস বাঁচিয়ে রাখবে ভারত!
স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএল মানেই যেন টাকার ছড়াছড়ি। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার ঝনঝনানি আর গ্ল্যামার। সঙ্গে ইঁদুরের সিঁদ কাটার মতো হাজির হয়েছে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিও।
তবে যতই গালমন্দ করুন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দাবি, আইপিএল নাকি ভারতীয় অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। গতবারের আইপিএল ভারতের অর্থনীতিতে ১১৫০ কোটি রুপি যোগ করেছে!
অর্থনীতিতে আইপিএলের প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। সেখানেই জানানো হলো, ভারতের মোট দেশজ আয়ে (জিডিপি) ২০১৫ মৌসুমের আইপিলের অবদান ১১৫০ কোটি রুপি।
বিসিসিআইয়ের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘২০১৫ সালের আইপিএলে মোট ২৬৫০ কোটি রুপির মতো অর্থের লেনদেন হয়েছে। টুর্নামেন্টের সঙ্গে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ কিংবা টুর্নামেন্টের প্রভাবে অর্থনীতিতে যে প্রভাব পরেছে তা বিবেচনা করেই এই হিসেব পাওয়া গেছে। আর আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন করলেও রাজ্যের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পরছে।’
আটটি দলের আইপিএলে ৬০ দিন ধরে খেলা হয়। গত আইপিএলে ১৭ লাখ ১০ হাজার দর্শক মাঠে গিয়ে খেলা দেখেছে। আর টিভির সামনে বসা কোটি কোটি দর্শক তো আছেই। গত আইপিএলে মোট ১২টি শহরে খেলা হয়েছে। এই ১২ শহরে স্থানীয় দর্শকের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকেও অনেক দর্শকের সমাগম হয়েছিল। ভারতের পর্যটন শিল্পেও বেশ বড় ধরনের অবদান রাখছে এই টুর্নামেন্ট।
মাত্র ৬০ দিনের একটি টুর্নামেন্ট থেকে অর্থনীতিতে এত বড় অর্থ প্রাপ্তিকে বেশ করেই দেখছেন আইপিএলের চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা। তিনি জানালেন, ‘এটি জেনে ভালো লাগছে যে ভারতের অর্থনীতিতে আইপিএল এত ইতিবাচক অবদান রাখছে।
৬০ দিনের একটি টুর্নামেন্ট জিডিপিতে ১১৫০ কোটি রুপির অবদান রাখছে—এটি তো টুর্নামেন্টের সফলতার প্রমাণ। পরবর্তী আসরগুলোতে এই সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব এবং দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি করে অবদান রাখব।’
তবে এই ‘অবদানে’র পরও কিন্তু এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ওপর থেকে কলঙ্কের দাগ মুছছে না। অর্থ পাচার, কর ফাঁকি, ম্যাচ পাতানো, স্পট ফিক্সিংয়ের মতো অপকর্মের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে আইপিএলের নাম। আর তাই কেলেঙ্কারিতে তাই যতই জর্জরিত হোক আইপিএল, নিশ্চিত থাকুন এমন সোনার ডিম পাড়া হাঁস বাঁচিয়েই রাখবে ভারত। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
৩১ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর
�