স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী ডিসেম্বরে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। অতীতের ভুল-ত্রুটি শুধরে নতুন আঙ্গিকে বিপিএল আয়োজনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যখন ব্যস্ত, ঠিক তখনই এই বিপিএলকেই বাংলাদেশের সঙ্গে দর-কষাকষির অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবরে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের প্রস্তাবিত পাকিস্তান সফর না হলে ডিসেম্বরে বিপিএলে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর এখনো চূড়ান্ত কিছু নয়। সন্ত্রাস-সংকুল পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বিসিবির একটি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যেই লাহোর ও করাচি সফর করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক দলের কাছ থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। বিসিবি বলেছে, চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই সফরের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নারী ক্রিকেট দলকে পাকিস্তান পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের ভেতরেই অবশ্য জোর আপত্তি আছে সিংহভাগ মানুষেরই।
পিসিবির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, পিসিবি অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রস্তাবিত পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে। সফর বাতিল হলে আসন্ন বিপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করবে পিসিবি।
বিপিএলের প্রথম আসরে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী। সে আসরে খেলেছিলেন পাকিস্তান দলে অনেক শীর্ষ ক্রিকেটারই। কিন্তু ২০১২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রস্তাবিত পাকিস্তান সফরটি বাতিল হওয়ার পর বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পিসিবি। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা না থাকলেও অন্যান্য ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর খেলোয়াড়েরা কিন্তু ঠিকই মাঠ মাতিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে অর্থকরী টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আইপিএলের দরজা অনেক আগে থেকেই বন্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য।-প্রথমআলো
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে