স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের মাটিতে গর্বের সাথে ক্রিকেট লড়াইয়ে অংশ নিতে যায় বাংলাদেশ। ভারতীয় স্কোয়াডের চেয়ে বাংলাদেশ স্কোয়াড বেশ শক্তিশালী। কিন্তু বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররাই ব্যর্থ হন এদিন। এর সুবাধে জয় তুলে নেয় রায়েনারা। ভারতের প্রতিটি মিডিয়ার শীর্ষ খবর হলো এই বিষয়টি।
ভারতের প্রভাবশালী আনন্দবাজার পত্রিকায় দুই দেশের এ দলের লড়াই নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হলো। বাংলাদেশ এ দলকে প্রথম ম্যাচে ৯৬ রানে হারাল ভারত এ। তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে এগিয়ে গেল।
এদিন টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশি অধিনায়ক মোমিনুল হক। ৫৮ বলে ঝোড়ো ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন গুরকিরাত। ৭ উইকেটে ৩২২ রানে পৌঁছে বাংলাদেশিদের সামনে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ভারত এ।
তবে পুরোপুর মসৃণ ছিল না যাত্রা। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের বলিষ্ঠ ৫৬ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ইনিংসের ঠিক মাঝপথে ১২৫ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে ভারত এ। মণীশ পান্ডে করেন মাত্র ১। উন্মুক্ত চাঁদ ফিরে যান ১৬ রানে। তবে তাঁদের সকলের ব্যর্থতা ঢেকে দেন গুরকিরাত, সঞ্জু স্যামসন ও ঋষি ধবন।
পরিস্থিতি অনুসারে সঠিক রাস্তায় এগন তাঁরা। স্যামসন ও ধবনকে সঙ্গে নিয়ে বিপক্ষের বোলারদের পাল্টা মার দিতে থাকেন গুরকিরাত। তাঁর ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। ১৪.৫ ওভারে স্যামসন-গুরকিরাত জুটি তোলে ১০২ রান। স্যামসনের ব্যক্তিগত রান ৭৩। ৮ ওভারে ধবন-গুরকিরাত জুটি তোলে ৭৮ রান। ধবন মাত্র ৩৪ বলে করেন ৫৬ রান। ৮টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। তবে প্রত্যাশা মেটাতে পুরোপুরি ব্যর্থ সীমিত ওভারের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সুরেশ রায়না। ২৮ বলে তাঁর অবদান মাত্র ১৬!
এরপর বল হাতেও ভেল্কি দেখান গুরকিরাত। তাঁর অফ ব্রেক সামলাতে হিমসিম খান বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ৭.৩ ওভারে ২৯ রানে ৫ উইকেট ঝুলিতে ভরেন তিনি। গুরকিরাতের পাশে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ধবনও। ৮ ওভারে তিনি ৫১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ৪২.৩ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২২৬ রানে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন লিটন দাশ। তাঁর রান ৭৫। নাসির হোসেনের অবদান ৫২।
এই নিয়ে ২৫ বছরের গুরকিরাত পরপর দুটি খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ হলেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজের ফাইনালে তার অপরাজিত ৮৭ রানের দৌলতেই জিতেছিল ভারত এ দল।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর