আরেকটি ‘বাংলাওয়াশের’ অপেক্ষায় পুরো জাতি
আরিফুর রাজু : বাংলাদেশ ক্রিকেটে আজ উত্তাল তরঙ্গ। নিঃসন্দেহে বলা যায় এদেশের ক্রিকেটারদের যোগ্যতা-শ্রম ও কঠোর পরিশ্রমের বলে আমরা ধীরে ধীরে ক্রিকেট পরাশক্তি সম্পন্ন দেশে পরিণত হচ্ছি। এছাড়া বাংলার ক্রিকেট টাইগাররা দাপটের সঙ্গে একের পর এক জয় তুলে নিচ্ছে প্রতিপক্ষ দেশের বিপক্ষে।
চলতি বছরে বাংলাদেশ দলের হোম সিরিজের সাফল্য চোখে পড়ার মত। দেশের মাটিতে পাকিস্তান-ভারত থেকে শুরু করে ক্রিকেট পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে পর্যন্ত নাকানি চুবানি খাইয়েছে বাংলার টাইগাররা।
এবার দেশের মাটিতে আরেকটি রেকর্ডের হাতছানি টাইগারদের সামনে। তারা ইচ্ছে করলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশে হেট্রিক করতে পারবে। তবে এরই মধ্যে দাপটের সঙ্গে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দু’টিতে জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। ২০০৬ সালে প্রথম এবং ১১তম বিশ্বকাপের আগে দ্বিতীয় বারের মত জিম্বাবুয়েকে হোইটওয়াশ লজ্জায় ফেলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
গেল বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে তাদের ব্যাপক নাকানি-চুবানি খাইয়ে তবেই ছেড়েছে তামিম-সকিবরা। এরপর বিশ্ব ক্রিকেটর আসরে সেই জয় থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভালোই সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুফ রাউন্ড শেষ করে কোয়াটার ফাইনালে গেলে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে হাই-ভোল্টেজের আসর থেকে ছিটতে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপ পরবর্তীতেও সেই জয়ের ধারা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মত ক্রিকেট পরাশক্তিসম্পন্ন দেশকে দেশের মাটিতে এনে ভদ্র ভাষায় ইচ্ছেমত অপমান করে ছেড়েছে ক্রিকেটীয় কায়দায়।
তিন ম্যাচ সিরিজের দু’টিতে জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশের সামনে।
তবে হোয়াইটওয়াশের চিন্তা মাথায় না নিয়ে ম্যাচ জয়ের আকাঙ্খাটাই অনেক বেশি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচের পর টাইগার অধিনায়ক মাশরাফির কণ্ঠে তেমনই ইঙ্গিত, ‘এই জার্সি গায়ে দিয়ে টানা ১’শ ম্যাচ জিতলেও, আমরা পরের ম্যাচটা জিততে চাইবো।’ অর্থাৎ ম্যাচ জয়ের দিকেই নজর বাংলাদেশের।
সত্যি কথা বলতে দলের অধিনায়কের এমন বক্তব্যের পর খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী না হয়ে উপায় আছে কি? দেখার বিষয়। তবে কি আরেকটি রের্কড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ ?
এই পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রতপক্ষকে দশবার হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ অর্জন করে।
প্রতিপক্ষ সাল ব্যবধান মাঠ
কেনিয়া ২০০৫/০৬ ৪-০ বাংলাদেশ
কেনিয়া ২০০৬ ৩-০ কেনিয়া
জিম্বাবুয়ে ২০০৬/০৭ ৫-০ বাংলাদেশ
স্কটল্যান্ড ২০০৬/০৭ ২-০ বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ড ২০০৭/০৮ ৩-০ বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০০৯ ৩-০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
নিউজিল্যান্ড ২০১১/১১ ৪-০ বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ড ২০১৩/১৪ ৩-০ বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ে ২০১৪ ৫-০ বাংলাদেশ
পাকিস্তান ২০১৫ ৩-০ বাংলাদেশ
জিম্বায়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন দাস কুমার, ইমরুল কায়েস, মুস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, জুবায়ের হোসেন, আল-আমিন হোসেন, এনামুল হক বিজয় ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
১১ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর