স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের আবহটা একেবারেই অন্য রকম। বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া লড়াইটা বরাবরই একপেশে হয়ে এসেছে। কার্ডিফের সেই বিখ্যাত ম্যাচটি ছাড়া কয়েকবার বাংলাদেশ লড়াই করেছে বটে, কিন্তু ফলাফল ছিল অভিন্ন। সব ধরনের ক্রিকেটে ২৭ বার মুখোমুখি হয়ে ২৬ বারই হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু খোদ অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমেই এবার যেন অন্য এক সুর। যে সুর বদলে দিতে বাধ্য করেছে বাংলাদেশই।
এটা ঠিক, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক যা কিছু সাফল্য সব ছোট সংস্করণে। টেস্টে এখনো ধারাবাহিক নয় মুশফিকুর রহিমের দল। আর অস্ট্রেলিয়াও আগামী মাসে খেলবে মাত্র দুই টেস্টের সিরিজই। তবুও রঙিন পোশাকের আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়াচ যেন সাদা পোশাকের দলের গায়েও লেগেছে।
মুশফিক কদিন আগে বললেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব বলে মনে করছেন না। এবার অস্ট্রেলীয় কোচ স্টুয়ার্ট লও বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার উচিত হবে বাংলাদেশকে সমঝে চলা।
বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ আবার এই দেশে এসেছেন অনূর্ধ্ব -১৯ দলের পরামর্শক হয়ে। ল নিজের অতীত আর সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, এর ধারে কাছেও খেলতে পারলে ওরা অস্ট্রেলিয়াকে এবার বেশ ভয়ই পাইয়ে দেবে। যারা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া এখানে আসবে আর মুখে রসগোল্লা পোরার মতো করে জয় পুরবে, বাংলাদেশকে স্রেফ উড়িয়ে দেবে, তারা ভুলই করছে। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।
এবার দুই দলের লড়াইয়ের গল্পটা অন্য রকম হবে ভাবা হচ্ছে বেশ কিছু কারণে। পাকিস্তান-ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে উড়িয়ে দেওয়ার আত্মবিশ্বাস। ঘরের মাঠে খেলা। এর সঙ্গে আছে অস্ট্রেলিয়া দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াও।
লও বলছেন, এটা বড় প্রভাবক হয়ে দেখা দেবে, অস্ট্রেলিয়া পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই দলটার চেহারা অন্য রকম। অস্ট্রেলিয়ার বেশ কজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কাছে পিঠে বিদায় নেওয়ায় অভিজ্ঞতার জায়গায় বিরাট ঘাটতি তো আছেই।
বাংলাদেশের কন্ডিশনও অস্ট্রেলিয়ার তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে বলে মনে করছেন তিনি, মনে হচ্ছে সে সময় প্রচুর গরম পড়বে। বলও বেশ ঘুরবে। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া হবে ওদের জন্য কঠিন। বেশ কিছু বাধা ডিঙোতে হবে ওদের। বাংলাদেশও ভালো খেলছে। ফলে লড়াইটা বেশ কঠিনই হবে। সূত্র: এএফপি-প্রথমআলো
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে