স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ ফের রেগে গেলেন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। ব্যাট হাতে স্টেডিয়ামে ঘূর্নিঝড়ের সৃষ্টি করেন তিনি। হাফিজের রেগে যাওয়ার পেছনে অবশ্য আইসিসির ভূমিকাও কম নয়!
শ্রীলঙ্কা সফরের সময় বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হন মোহাম্মদ হাফিজ। এখন শুধু ব্যাটসম্যান হিসাবেই দলে রয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করার প্রনান্তকর চেষ্টাই তাকে সাফল্য এনে দিচ্ছে।
অন্যদিকে বীরদর্পে জয় পাচ্ছে তার দলও। বুধবার অবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মাত্র ২১৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪১ রানে ৩টি উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। তখন পাকিস্তানের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান হাফিজ।
অপরাজিত ১০২ রান করে দলকে জয় উপহার দেন তিনি। নির্বাচকরা মোটেই ভুল করেনি। ম্যাচ সেরার কীর্তিটাও দেয়া হয়েছে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ থাকা এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে।
৪৩ ওভার ৪ বলে দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় দলের নতুন সদস্য বাবর আজমও ৬২ রানে অপরাজিত থাকে। প্রথমদিকে কিছুটা নাকাল হওয়া পাকিস্তান শেষের দিকে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় পায়। বিশ্লেষণে উঠে আসে হাফিজের কাছেই লজ্জায় ডুবল ইংলিশরা।
পাকিস্তান ৪ টি উইকেট হারায়। যার ৩টিই পান টপলি। একটি উইকেট শিকার করেন মঈণ আলী। ২১৭ রানে ইংলিশ শিবিরকে গুটিয়ে দেয়ার পেছনে বড় অবদান পাক বোলার ইরফানের। তিনি ৩ টি উইকেট পান।
অন্যদিকে অনোয়ার আলী ও মালিক দুটি করে উইকেট শিকার করেন। অন্যদের জ্বলে ওঠার দিনে ইয়াসির শিকার করেন মাত্র একটি উইকেট। ওয়াহার রিয়াজ দুর্দান্ত বল করলেও থাকেন উইকেট বঞ্চিত।
ইরফানের প্রসঙ্গও এখানে উল্লেখ করার মত। তিনি ১০ ওভার বল করেছেন। আর মাত্র একটি চার রানের বাউন্ডারি খেয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে দারুণ কিছুর যোজন পাকিস্তানের।
নিপেক্ষ ভেন্যু আরব আমিরাতে পাকিস্তান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছে। অন্যদিকে ৪ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে জয় পেয়ে এবারও এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
১২ নভেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর