বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩৭:৪৭

যেখানে আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ডেরও পেছনে বাংলাদেশ!

যেখানে আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ডেরও পেছনে বাংলাদেশ!

স্পোর্টস ডেস্ক: মাশরাফি টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও মুড়তে চান সাফল্যের মোড়কে! ছবি: প্রথম আলোআফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড এমনকি হল্যান্ড পরে বাংলাদেশের স্থান! পরিসংখ্যান তা-ই বলছে। ওয়ানডেতে ক্রমেই নিজেদের অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের চেহারাটা বড্ড মলিন টি-টোয়েন্টিতে। জয়ের হারে সবার ওপরে পাকিস্তান। ৯২ ম্যাচে ৫৬টিতে জয়। এর পর দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ৮২ ম্যাচে ৪৯ জয়। বাংলাদেশের অবস্থান ১২ নম্বরে। ৪৪ ম্যাচে জয় মাত্র ১২টি। বাংলাদেশের চেয়ে টি-টোয়েন্টিতে বেশি সফল আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও হল্যান্ড! এ বছরের হিসাব করলে বাংলাদেশ তো হংকং, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনিরও পরে! টেস্টে বাংলাদেশ সাফল্য পায় না, এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে কেন সফল নয় বাংলাদেশ? মাশরাফি বিন মুর্তজা স্বীকার করে নিচ্ছেন ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে নিজেদের ব্যর্থতা। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সামনে ব্যর্থতা নয়, বরং সাম্প্রতিক সাফল্যের ফিতেটাই দীর্ঘ করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এটা সত্যি কথা, টি-টোয়েন্টিতে এখনো আমরা অতটা সাফল্য পাইনি। তবে পরপর তিনটি ওয়ানডেতে জেতার পর খেলোয়াড়েরা আত্মবিশ্বাসী। এ আত্মবিশ্বাস আগামী ম্যাচে কাজে লাগাতে পারলে ফল আমাদের পক্ষেই আসবে।’ ক্রিকেটের এটি একমাত্র সংস্করণ, যেখানে বড় দল-ছোট দলের পার্থক্য থাকে নেমে এসে হাত ছোঁয়া দূরত্বে। বাংলাদেশ সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে কমই। অথচ এ সংস্করণে শুরুটা হয়েছিল বেশ। প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই জয়। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই কাব্যিক জয়। মাশরাফি অবশ্য এ মুহূর্তে কোনো নেতিবাচক ভাবনা আনতে চান না, বরং টানা সাফল্য কাজে লাগাতে চান এ সংস্করণেও,‘টি-টোয়েন্টিতে আসলে কোনো কিছু অনুমান করা কঠিন। এখানে রক্ষণাত্মক হওয়ার সুযোগ নেই। সব সময় আক্রমণাত্মক হতে হবে। এক-দুইটা উইকেট পড়ে গেলে ছোট-বড় দলের পার্থক্য কমে যায়। তবে এগুলো সবই নেতিবাচক চিন্তা। ইতিবাচক হচ্ছে, আমরা ভালো খেলছি। সেটা ধরে রাখা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে আশা করি সমস্যা হবে না।’ এ বছর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধ্যায় শেষ। সামনের কমাস কেবলই টি-টোয়েন্টি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্চ-এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে কি এ সিরিজ দিয়ে শুরু হয়ে গেল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি? খানিকটা ঘুরিয়ে মাশরাফির ‘হ্যাঁ-সূচক’ জবাব, ‘এর পর বিপিএল। কিছুদিন অনুশীলনের পর এশিয়া কাপ। সেরা সমন্বয়টা ঠিক করার চেষ্টা করছি। এর পর অত সময় পাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে প্রস্তুতিটা শুরু করতে হবে এখনই।’ বছরের শুরুটা হয়েছিল বিশ্বকাপে সাফল্য দিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় দিয়ে সমাপ্তিও রঙিন করার দারুণ সুযোগ। আরও একটি ব্যাপার, গতবার যেমন এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ খুঁজে পেয়েছিল হারানো আত্মবিশ্বাস। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল বিশ্বকাপেও। এবারও একই সুযোগ কেন কাজে লাগাবে না বাংলাদেশ?-প্রথম আলো ১২ নভেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে